সংসদ ভবন যখন বনভোজনকারীদের যাত্রাস্থল
প্রতি শুক্রবারের সকালটা সংসদ ভবনের সামনের অংশ (সেচ ভবনের সামনে) মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ যেন পরিণত হয় বনভোজনকারীদের যাত্রাস্থল হিসেবে। বিশেষ করে এদিন (শুক্রবার) সরকারি ছুটি থাকায় রাজধানীর ব্যস্ত মানুষগুলো একটু অালাদা হতে মেতে উঠেন বনভোজন উৎসবে। অার বনভোজনের যাত্রাস্থল হলো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ।
শুক্রবার সকালেও সংসদ ভবনের সামনে একই চিত্র দেখা গেল। এদিন ঠাকুরগাঁও জেলা সমিতি, ভোলা জেলা সমিতি, মার্কেন্টাইল ব্যাংকসহ বিভিন্ন কর্পোরেট অফিসের বনভোজনের গাড়ি অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অার গাড়িতে উঠার জন্য সেখানে একত্রিত হয়েছেন শত শত মানুষ। ঘটা করে এতগুলো মানুষের এক সঙ্গে সংসদ ভবনে উপস্থিতিও যেন অারেকটি বনভোজনে পরিণত হয়।
সেখানে উপস্থিত হওয়ার পর এসব মানুষ মেতে উঠেন সংসদ ভবনের ছবি তুলতে। অনেকে অাবার ব্যস্ত সেলফি তুলতেও। কথা হয় ঠাকুরগাঁও জেলা সমিতির বনভোজন অায়োজনকারীদের অন্যতম একজন সাংবাদিক মসিউর রহমানের সঙ্গে। তিনি জানালেন, একসঙ্গে অনেকগুলো গাড়ি রাখা এবং অনেক মানুষকে একত্রিত করার অন্যতম স্থান সংসদ ভবনের মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ। তাছাড়া স্থানটিও অনেক সুন্দর।
তিনি মনে করেন অনেক মানুষ একত্রিত হওয়ার অন্যতম স্থান এটি। তিনি বললেন, প্রায় ৫শ মানুষের অায়োজন অামাদের। এত মানুষকে একত্রিত করার উন্য রাজধানীর অার কোথাও ফাঁকা স্থান নেই।
একই কথা বললেন ভোলা জেলা সমিতির বনভোজন অায়োজনকারী হারুন উর রশিদ। তিনি জানান, সুন্দর একটি স্থান থেকেই সকালের যাত্রাটা শুরু করি যাতে সারাটা দিন সুন্দরভাবে কাটানো যায়। আর সংসদ ভবনের মতো এরকম সুন্দর স্থাপনাতো অার কোথাও নেই। বনভোজনের কারণে সংসদ ভবনের সৌন্দর্য্যও উপভোগ করতে পারছি অামরা।
তিনি আরো বলেন, সাড়ে তিনশ মানুষ যাচ্ছি বনভোজনে। সবার সঙ্গে সবার দেখা করার জন্য এই স্থানটি নির্বাচন করেছি। তবে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যেই জায়গাটি অাবার ফাঁকা হয়ে যায়। সবাই নিজেদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। সবার যাত্রা শুভ হোক।
এমএএস/এসকেডি/পিআর