সালমান খানের হাফ ডজন তারকা প্রেমিকা

বলিউডের ভাইজান হিসেবে পরিচিত সালমান খান। ব্যাক্তিগত জীবনে বয়স পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই করছে। এখনো বিয়ের নাম নেই। তাই বলে তিনি নিঃসঙ্গ- এমনটা ভাবার অবকাশ কই। ক্যারিয়োরের শুরু থেকেই তিনি জড়িয়েছেন নারী সঙ্গে।

ভালোবেসেছেন হাফ ডজনেরও বেশি ললনাকে। তাদের প্রত্যেকেই রুপে-গুণে অনন্যা আর জনপ্রিয় নিজ নিজ ক্ষেত্রে। কিন্তু কোনো প্রেমিকাই সল্লু মিয়াকে তার বাহুডোরে আটকে রাখতে পারেননি। আজ সালমানের প্রেমিকাদের মধ্যে আলোচিতদের নিয়ে আমাদের এই বিশেষ আয়োজন-

সংগীতা বিজলানি
সালমানের বাবা সেলিম খানের প্রভাবের সুবাদে ছোটবেলা থেকেই বলিউডের সংস্পর্শে ছিলেন বলিউডের সাল্লু ভাই। তাই বড় হয়ে কলেজ শেষ হওয়ার পর আর দেরি করেননি অভিনয়ে আসতে। পড়াশোনাকে সেখানেই থামিয়ে রেখে ১৯৮০ সালে নাম লেখান বলিউডে। আর প্রেমের অভিষেকটাও হয় সে বছরই। সংগীতা বিজলানি ছিলেন তৎকালীন মিস ইন্ডিয়া বিজয়ী। কৌশলে জয় করে নিলেন সেই সুন্দরীর মন। ব্যস শুরু হয়ে গেলো দুজনার জমজমাট প্রেম। তবে সে প্রেম বেশিদিন স্থায়ী হলোনা। পাঁচ বছর পরই ভেঙে যায়। তারপর সংগীতা হুট করেই বিয়ে করে ফেলেন ক্রিকেট তারকা আজহার উদ্দিনকে। এদিকে প্রেমের দরিয়ায় সালমানের নোঙর ফেলার কেবল শুরু হলো।



সোমি আলী
সোমি আর সালমানের প্রেম নিয়ে অনেক মুখরোচক গল্প প্রচলিত আছে বলিউডে। শোনা যায় সোমির বয়স যখন ৯ তখনই নাকি প্রথম দেখা হয় দুজনার মাঝে। প্রথম দেখার ৮ বছর পর প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তারা। তবে সে প্রেমও খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। সালমানের অতিরিক্ত মদ্য পান আর বাজে ব্যবহার মেনে নিতে পারেনি ষোড়শী বালিকা। তাই শেষ পর্যন্ত ভেঙ্গে যায় দুজনের সম্পর্ক। শোনা যায় সালমানের সাথে অভিমান করেই নাকি বলিউড ছেড়ে বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন সোমি আলী।


ঐশ্বরিয়া রাই
বলিউডের পর্দার বাহিরে সবচেয়ে আলোচিত জুটি সালমান-ঐশ্বরিয়ারর জুটি। যখন প্রেম করতেন তখনো, এখনো। ম্যায়নে পেয়ার কিয়া ছবিটি ব্লকব্লাস্টার হিট খাওয়ায় জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ছিলেন সালমান। সেই সময় ঐশ্বরিয়ার সাথে ‌‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবিতে জুটিবদ্ধ হন এই তারকা। রোমান্টিক ঘরনার এই ছবি করতে গিয়ে সালমান ঐশ্বরিয়া যে পর্দার মতোই বাস্তবেও রোমান্সে জড়িয়ে গেছেন সে খবরও জেনে ফেলেছিলো বলিউড বিশ্ব। বেশ ভালোই চলছিলো দুজনের প্রেম রসায়ন। কিন্তু বাধসাধে হঠাৎ ঐশ্বরিয়ার ব্রেকাপের ঘোষণায়। কি কারণে এতো মধুর সম্পর্ক ছেদ করতে হলো সে খবর আজও অজানা। তবে সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখতে চেষ্টার ত্রুটি করেননি সালমান। শেষ চেষ্টার জন্য বাবা সেলিম খানকেও পাঠিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়ার কাছে। কিন্তু ঐশ্বরিয়াও যে ধনুক বাঁকা ছিলেন! কিছুতেই আর ফেরত আসলেন না।



ক্যাটরিনা কাইফ
ঐশ্বরিয়ার সাথে প্রেম ভেঙ্গে যাওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলেন আর বুঝি নারীসঙ্গ নিবেন না সালমান। কিন্তু ‌‘বাই বর্ন লাভার’ কেন থেমে থাকবেন। সবার ভাবনা-চিন্তার মুখে ছাই ছিটিয়ে তিনি আবারো প্রেমে পড়লেন। আর সেই ‘জুলিয়েট’ ছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন আসা ক্যাটরিনা কাইফ। হিন্দী বলতে বেশ কসরত করতে হতো ক্যাটরিনা কাইফকে। তবুও এই ক্যাটরিনাকে প্রথম সারির নায়িকা হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন সালমান। তবে ক্যাটরিনার সাথেও টেকেনি বেশিদিন। সালমানকে ছেড়ে রণবীরের দিকে হাত বাড়ান ক্যাট। অন্যদিকে ক্যাটের সঙ্গে জোড়াতালির সম্পর্কে কিছুটা ক্লান্তও ছিলেন বোধহয় সালমান। ক্যাটরিনা চলে যাওয়ার পর ফিরে পাওয়ার জন্য আর তাই কোনো ঝামেলা বাধাননি তিনি।


ক্লদিয়া সিয়াসলা
ঐশ্বরিয়ার সাথে ভাঙ্গনের পর দেশি প্রেমিকাদের প্রতি বোধহয় বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন বলিউডের আয়রন ম্যান। কেননা, তারপর থেকেই তিনি বিদেশি কিংবা ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশিদের প্রেমে পড়তে শুরু করেন যার শুরুটা হয় ক্যাটরিনাকে দিয়ে। এরপর তিনি জড়িয়ে পড়েন পোল্যান্ডের বংশোদ্ভূত জার্মান মডেল ক্লদিয়া সিয়াসলার প্রণয়ে। তাকেও তিনি বলিউডের লাইম লাইটে নিয়ে আসেন। একসাথে দুজন ঘুরে বেড়িয়েছে দেশ বিদেশে। সালমানের পরিবারের সাথেও সখ্যতা বাড়ে ক্লদিয়ার। গুঞ্জন শোনা গিয়েছিলো দুজনের বিয়ে নিয়েও। কিন্তু হঠাৎ কি যে হলো ক্লদিয়া ফিরে গেলেন জার্মান। আর আরো একবার প্রেম ব্যার্থ সালমান রয়ে গেলেন দেশেই।


লুলিয়া ভানতুর
এতো এতো প্রেম করে বোধহয় কিছুটা ক্লান্ত ছিলেন সালমান নিজেই। নতুন করে আর প্রেমে জড়াননি তিনি। মাঝখানে বেশ কিছুটা সময় ছিলো তার নিস্তরঙ্গ নদীর মতো। তবে স্রোতের নদী আর কতক্ষণই বা নিস্তেজ থাকে। তেমনি সালমানও পারলেন না। হুট করেই বছর খানিক আগে শোনা গেল লুলিয়া ভানতুর নামে এক রোমানিয়ান মডেলের সঙ্গে প্রেম করছেন তিনি। শুধু তাই নয় বিয়েও করছেন তিনি লুলিয়াকে- এমন খবরও প্রকাশ হতে লাগলো। সম্প্রতি সালমান নিজেই লুলিয়া ভানতুরকে গার্লফ্রেন্ড বলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন প্রকাশ্যে। ঘোষণাও দিয়েছেন তাকে বিয়ে করার। এখন দেখার পালা সেই ঘোষণা কবে সত্যি হয়। নাকি আগের প্রেমিকাদের মতো লুলিয়া সালমানকে বাহুডোরে বাঁধতে ব্যর্থ হয়ে নিজের পথ ধরবেন।



এলএ