ইয়াবা চোরাচালানের গডফাদার চিহ্নিত
র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, সমুদ্রপথে বাংলাদেশে আসা ইয়াবা চোরাচালানকারীদের গডফাদারকে আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি। শিগগিরই এই গডফাদারসহ ইয়াবা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে।
সোমবার দুপুরে র্যাবের সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সোমবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে ২৮ লাখ পিস ইয়াবাসহ ৩ জনকে গ্রেফতারের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ইয়াবা চোরাচালানকারীদের গডফাদারদের চিহ্নিত করা হয়েছে। খুলনা, বরিশালসহ সমুদ্রপথের এলাকাগুলোতে ইয়াবা চোরাচালানের ব্যাপক বিস্তার রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তার নাম প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এর আগে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা উপকূল ও ঢাকার বিমানবন্দর রেল স্টেশন থেকে ইয়াবা চোরাচালানকারী চক্রের মূল হোতা আলী আহমদসহ (৫২), হামিদ উল্লাহ (৩২) ও মো. মহিউদ্দিনকে (৩৫) গ্রেফতার করে র্যাব।
রোববার একটি ট্রলারকে ধাওয়া করে বিকেলে একে পতেঙ্গা উপকূলের কাছে নিয়ে এসে আটক করে র্যাব। পরে আলী আহম্মদ ও হামিদ উল্লাহকে তল্লাশি করে সাড়ে ২৭ লাখ ইয়াবাসহ আটক করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য মতে, সোমবার বিমানবন্দর স্টেশন থেকে মো. মহিউদ্দিনকে ৫০ হাজার পিছ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেে র্যাব।
আলী আহমেদ ‘একুশে প্রোপার্টিজ’ নামক একটি ডেভেলপার কোম্পানির মালিক। কোম্পানির আড়ালে তিনি ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করতেন। চোরাচালান কাজে তাকে সহযোগিতা করতেন চাটার্ট অ্যাকাউন্টেন্ট মো. মহিউদ্দিন ও অফিস সহকারী হামিদউল্লাহ।
বেনজীর আহমেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা বমংক নামের এক বার্মিজ নাগরিক সমুদ্রপথে তাদের এসব ইয়াবা পাঠিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। সমুদ্রের মাঝপথ থেকে এগুলো সংগ্রহ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করতেন আয়াতুল্লাহ নামের আরেক চোরাচালানকারী।
র্যাব জানায়, আয়াতুল্লাহ সিন্ডিকেটের কাছ থেকে কোস্ট গার্ড ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ৫০ হাজার পিছ ইয়াবাসহ আটক করে।
এআর/এসকেডি/পিআর