জিম্বাবুয়েকে ১৬৮ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে মাশরাফিদের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ। সেই সুযোগটা কাজে লাগানোর জন্য জিম্বাবুয়ের সামনে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ দল। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ের সামনে ১৬৭ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে মাশরাফি অ্যান্ড কোং। জিততে হলে হ্যামিল্টন মাসাকাদজাদের করতে হবে ১৬৮ রান। প্রথম ম্যাচের মত দ্বিতীয় ম্যাচেও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন সাব্বির রহমান। ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন সৌম্য সরকারও। দু’জনই করলেন সমান ৪৩ রান করে।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে চার ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত ছিল বাংলাদেশ দলের। তামিম-সৌম্যের জুটিতে এসেছিল ৪৫ রান। এসময় মুজরাবানির বলে ভিতোরির হাতে ক্যাচ দিয়ে তামিম ফিরে গেলেও সাব্বির রহমানকে নিয়ে দারুন লড়াই করছিলেন সৌম্য সরকার।
তবে ৯ম এবং ১০ম ওভারে হঠাৎ ঝড় তোলে জিম্বাবুয়ের বোলাররা। গ্রায়েম ক্রেমার আর ওয়েলিংটন মাসাকাদজার কাছে পর পর উইকেট হারিয়েছেন সৌম্য সরকার আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩৩ বলে ৪৩ রান করে জিম্বাবুয়ের সামনে আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হওয়া সৌম্যকে ফিরিয়ে দেন গ্রায়েম ক্রেমার। ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনের ওপর ম্যালকম ওয়ালারের হাতে ক্যাচ তোলেন সৌম্য। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার ছিল তার ইনিংসে।
সাব্বির রহমানের সঙ্গে জুটি বাধার জন্য মাঠে নেমে থই পেলেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩ বলে মাত্র ১ রান করেই ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে উইকেটের পেছনে মুতুম্বামির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। ৭৬ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ার পর জুটি বাধেন সাব্বির আর মুশফিক।
তবে ১৬তম ওভারে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন মুশফিক। ২০ বলে ২৪ রান করেন বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান। মুশফিকের রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার পর মাঠে নামেন সাকিব আল হাসান। শেষ পর্যন্ত সাকিব আর সাব্বিরের ব্যাটে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ১৬৭ রানে। ৩০ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন সাব্বির। ১টি বাউন্ডারির সঙ্গে তার ব্যাট থেকে এসেছে তিনটি অনবদ্য ছক্কার মার। সাকিব ১৭ বলে অপরাজিত থাকেন ২৭ রানে। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে একটি ছক্কা মারেন তিনি।
চার ম্যাচের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার উইকেটে জয় লাভ করেছে বাংলাদেশ। জয় পেলেও তা তুলে নিতে বেশ কাঠ খর পোড়াতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তাই এবার লক্ষ্য আরও সহজ জয়। এ ম্যাচে আগের একাদশ নিয়েই মাঠে নেমেছে মাশরাফি বাহিনী।
অপরদিকে জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানো। তবে ইনজুরির কারণে এ ম্যাচে খেলছেন না জিম্বাবুয়ে দলের নিয়মিত অধিনায়ক এলটন চিগুম্বুরা। তার পরিবর্তে সফরকারী দলের অধিনায়কত্ব করছেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা।
বাংলাদেশ দল :
তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, নুরুল হাসান সোহান (উইকেট রক্ষক), মাশরাফি বিন মর্তুজা, আল-আমিন হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান ও শুভাগত হোম।
জিম্বাবুয়ের একাদশ :
ভুসিমুসি সিবান্দা, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, শন উইলিয়ামস, পিটার মুর, ম্যালকম ওয়ালার, ব্রায়ান ভেট্টরি, উইলিংটন মাসাকাদজা, গ্রায়েম ক্রেমার, রিচমন্ড মুতুমবামি, নেভিল মাদজিভা, তাউরাই মুজারাবানি।
আইএইচএস/আরআইপি