হার দিয়েই বঙ্গবন্ধু কাপ শেষ হলো অলিম্পিক দলের
প্রথম ম্যাচে বাহরাইনের সঙ্গে ড্র করতে পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের কাছে হারের ফলে সেমিফাইনালে ওঠাটা কঠিন হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ অলিম্পিক দলের জন্য। তবুও বেশ হিসাব-নিকাশ বাকি ছিল অলিম্পিক দলের জন্য। কিন্তু, আজ গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মাঠে নামার আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-২৩ দলের। কারণ, সব হিসাব নিকাশ চুকিয়ে দিয়েছে মালদ্বীপ এবং বাহরাইনের ম্যাচ। দল দুটি ১-১ গোলে ড্র করার ফলেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় অলিম্পিক দলটির।
মাঠে নামার আগে বিদায় নিশ্চিত হওয়ার কারণেই কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি হয়ে পড়েছিল পুরোপুরি আনুষ্ঠানিকতার। তবুও স্বান্তনা খুঁজতে পারলো না অনুর্ধ্ব-১৯ দলটি। কম্বোডিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরেই বিদায় নিল বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে অংশ নেয়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় দলটি। তিন ম্যাচে কম্বোডিয়ার অর্জন তিন পয়েন্ট। অন্যদিকে আগামী মাসে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য এসএ গেমসের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া অনুর্ধ্ব-২৩ দল তাদের পথচলা শেষ করলো মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে।
খেলার শুরু থেকেই অনুর্ধ্ব-২৩ দল বেছে নেয় আক্রমণাত্মক কৌশল। প্রান্ত বদল করে খেলেছেন বল পায়ে বাংলাদেশের দ্রুততম খেলোয়াড় রুবেল মিয়া, মাঝ মাঠে ইমন বাবু ও অন্যপ্রান্তে ইউসুফ সিফাত। মাঝমাঠে ইমন বাবু ও সামনে আমিনুর রহমান সজিব ভালই কম্বিনেশন গড়ে তুলেন। রুবেল ১৬ মিনিটে একাই ভেদ করেছিলেন প্রতিপক্ষ ডিফেন্স। বক্সের মাঝামাঝি দুই কম্বোডিয়ান ডিফেন্ডারের কারণে কোন আক্রমণই কাজে লাগাতে পারেনি কারা। এর আগে ১২ মিনিটে ডিফেন্ডার তোলা নাবের ফ্রি-কিকে হেড করেছিলেন ডিফেন্ডার ভিসাল সোয়ি। বাংলাদেশ গোলরক্ষক জিয়াউর রহমানের সময়োচিত ডাইভ সে যাত্রা রক্ষা করে দলকে।
৩৬ মিনিটে খেলার সেরা মুভমেন্ট করে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-২৩ দল, মাঝমাঠ থেকে ইউসুফ সিফাত ক্রস দেন রুবেল মিয়াকে। রুবেল ও সজিব বিনিময় করেন চমৎকার ওয়ান-টু ওয়ান। বল ক্লিয়ার করে নেন সজিব। তার কোণাকুণি শট সাইড পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। সজিব ও অনুর্ধ্ব-২৩ দলের দূর্ভাগ্য অব্যাহত থাকে ৬২ মিনিটেও। ডানপ্রন্ত থেকে নেওয়া কেষ্ট কুমার বোসের লম্বা থ্রো-ইন এসে পড়ে কম্বোডিয়ার ছোট বক্সের ওপর। মাশুক মিয়া জনি আলতো ছোঁয়ায় বলের গতি পরিবর্তন করে দেন, সজিব নেন জোরালো শট। কিন্তু বল সাইড পোস্টে লেগে চলে যায় বাইরে।
চাপ সামলে নিয়ে পাল্টা আক্রমণে যায় কম্বোডিয়া। ৫৪ মিনিটে টোলা নাব দ্রুত গতিতে ডিফেন্স ভেদ করে ডান পায়ের জোরালো শট নিয়েছিলেন। গোলরক্ষক জিয়া ঝাঁপিয়ে পড়ে বল বাঁচান। বিপদ তখনও কাটেনি, বল পড়েছিল ফরোয়ার্ড চার্মসে সকের সামনে। কিন্তু হ্যান্ডবল হওয়ায় ঘোর বিপদ হয়নি। কিন্তু অনুর্ধ্ব-২৩ দলের রক্ষণ দূর্গ ভেঙে পড়ে ৭১ মিনিটে। ফরোয়ার্ড ভানডেথ সনের নিঁখূত থ্রু পাসে পরাস্ত হয় তিনজনের ডিফেন্স। বল তুলে নেন ডিনা টিট, ইনসাইড-আউটসাইডে পাশ কাটান তার মার্কারকে। ডিনা টিট যখন দূরের পোস্টে বল ঠেলে দিচ্ছেন অসহায় গোলরক্ষক জিয়ার তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।
শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও বাংলাদেশের যুবারা আর গোলের দেখা পায়নি। ফলে কম্বেডিয়া অর্জন করে নেয় তাদের প্রথম জয়। এসএ গেমসের আগে মনোবল চাঙ্গা করার শেষ সুযোগটা হারায় বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-২৩ দল।
আইএইচএস/পিআর