সাইফের সেঞ্চুরিতে হোয়াইটওয়াশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ


প্রকাশিত: ০২:০৪ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৬

সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনুর্ধ্ব-১৯ দলকে শেষ ম্যাচে এসেও বিধ্বস্ত করে ছাড়লো বাংলাদেশের যুবারা। শেষ ম্যাচে এসেও হারলো ক্যারিবীয় যুবারা। ১৬ রানের ব্যবধানে এই হারের মধ্য দিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনুর্ধ্ব-১৯ দল। যুব বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজ জয় নিশ্চিতভাবেই উদ্বীপ্ত করবে মেহেদী হাসান মিরাজদের।

এবার বাংলাদেশ দলের সাফল্য এলো সাইফ হাসানের সেঞ্চুরির এবং সঞ্জিত সাহার অসাধারণ বোলিংয়ের ওপর ভর করে। অনবদ্য সেঞ্চুরি উপহার দেন সাইফ হাসান। আর বল হাতে ক্যারিবীয়দের একাই গুঁড়িয়ে দেন সঞ্জিত সাহা। ২১ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। এ দুই তরুণ তুর্কির হাতেই বাংলাওয়াশ হতে হলো ক্যারিবীয় যুবাদের।

ইনিংস ওপেন করতে নেমে ক্যারিবীয় বোলারদের পাত্তাই দিলেন না ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান। ১৪৭ বলে খেললেন ১০৭ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। তার সেঞ্চুরিতেই টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ অনুধ্ব-১৯ দল সংগ্রহ করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান। সাইফের ইনিংস সাজানো ছিল ১১টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ছক্কায়।

সাইফ হাসান ছাড়াও দারুন ব্যাটিং করেছেন সাইফুল হায়াত। তার ৬১ রানের স্কোরটিও বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে দারুন অবদান রাখে। ৬৯ বলে ৯ বাউন্ডারিতে এই রান করেন তিনি। অবশ্য সাইফ হাসান আর সাইফুল হায়াত ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যান দাঁড়াতেই পারেননি ক্যারিবীয় বোলারদের সামনে। শুধুমাত্র উইকেটরক্ষক জাকের আলি করেন ২৪ রান।

ক্যারিবীয় বোলারদের মধ্যে ২টি করে উইকেট নেন ওডেন স্মিথ, কিরস্তান কালিচরন এবং গিডরন পোপ।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য দারুন প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল ক্যারিবীয় যুবারা। ২৩৫ রানের চ্যালেঞ্জটা অবশ্য খুব বেশি বড় না। এ কারণেই তারা অনায়াসেই যেন এগিয়ে যাচ্ছিল, অন্ততঃ হোয়াইটওয়াশ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। দুই ওপেনার টেভিন ইমলাক এবং গিডরন পোপ ৮২ রানের জুটি গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয়ের পথেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে তাদের চেষ্টায় কোন লাভই হলো না। বাংলাদেশের অফ স্পিনার সঞ্জিত সাহার ঘূর্ণি তোপে পড়ে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে ক্যারিবীয়রা। শেষ পর্যন্ত ৪৯.৫ ওভারে ২১৯ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায় সফরকারীলা।

সাঈদ সরকারই প্রথম আঘাত হানেন ক্যারিবীয়দের ওপর। ৫৭ রান করা গিডরন পোপকে ফিরিয়েছিলেন তিনি। ৪২ রান করেন কিচি কার্টি। ৩৮ রান করেন টেভিন ইমলাক। রায়ান জন করেন ২৬ রান। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে ১০ ওভার বল করে ৩ মেডেন দিয়ে ৫ উইকেট নেন সঞ্জিত। বাকি চার উইকেট ভাগাভাগি করে নেন মেহেদী হাসান রানা, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাঈদ সিকদার এবং আরিফুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঢাকা। ওই ম্যাচে ক্যারিবীয় যুবাদের ৮ উইকেটে হারিয়েছিল মেহেদী হাসান মিরাজরা। এরপরই চট্টগ্রাম চলে যায় দুই দল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সফরকারীদের ১৭১ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশের তরুণ তুর্কীরা। শেষ ম্যাচে এসে হারাল ১৬ রানে।

আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।