সাড়া ফেলেছে এক সেকেন্ডের রুটি মেকার
মাসব্যাপী ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রতি সেকেন্ডে রুটি বানানোর জাদুকরি মেশিন নিয়ে এসেছে ‘লাইবা রুটি মেকার’। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিদ্যুৎবিহীন পরিবেশবান্ধব এই রুটি বানানোর যন্ত্র স্বল্পমূল্যে পাওয়া যাচ্ছে মেলায়। তাই মেলা শুরুর পর থেকেই রুটি মেকারের স্টলটিতে ভিড় করছেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাণিজ্য মেলার ৭৮ নম্বর স্টলে পসরা সাজিয়েছে ‘লাইবা রুটি মেকার’। সেকেন্ডে একটি করে রুটি তৈরি করে বিস্মিত হচ্ছেন মেলায় আসা ক্রেতা দর্শনার্থীরা। এমনকি তিন বছরের শিশুর হাতেও চোখের পলকেই তৈরি হয়ে যাচ্ছে শতভাগ গোলাকার একটি রুটি।
এদিকে স্টলের বিক্রেতা উচ্চস্বরে বলে চলেছেন, ‘এক সেকেন্ডের জাদু দেখুন। দেশের উদ্ভাবিত যন্ত্রের জাদু দেখুন। মায়ের কষ্ট কমাতে লাইবা রুটি মেকার কিনুন।’ সাথে দর্শনার্থীদের শত প্রশ্নের জবাবও দিচ্ছেন তিনি।
দ্রুত রুটি বানানোর এই যন্ত্রটির উদ্ভাবক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘লাইবা রুটি মেকার বিদ্যুৎবিহীন পরিবেশবান্ধব রুটি বানানোর যন্ত্র। এই যন্ত্রে অনেক ধরনের রুটি বানানো যায়। যেকোনো বয়সের মানুষ এর মাধ্যমে দ্রুত রুটি বানাতে পারবে। কাঠের এই যন্ত্র চালাতে বিদ্যুৎ লাগে না বলে সাশ্রয়ী। বৈদ্যুতিক রুটি মেকারের চেয়ে আমার যন্ত্রে রুটি বানানো সহজ ও সুবিধাও বেশি। শতভাগ প্রাকৃতিক স্বাদ অক্ষুণ্ণ থাকবে। ফলে দেশে-বিদেশে এর চাহিদা বাড়ছে।
হুমায়ুন কবীর আরো বলেন, এই মেশিনে তৈরি করা রুটিতে কোনো পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই। এমনকি কোনো দূর্ঘটনার ও বিন্দু মাত্র সম্ভাবনা নেই। শুরু আটার খামি করবেন। সাইজ ভেদে মন্ড তৈরি করে চাপ দেবেন সাথে সাথে গোলাকার রুটি তৈরি হবে। তিন মডেলের এই রুটি মেকার পাওয়া যাচ্ছে তিন হাজার ৮৫০, চার হাজার ৬৫০ এবং সাড়ে ৫ হাজার টাকায়।
অনলাইনে লাইবা রুটি মেকার সম্পর্কে জানতে প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজ ভিজিট করতে আহ্বান জানিয়েছেন হুমায়ুন কবীর। এছাড়া গুগল, ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবেও ‘Laaibah Ruti Maker’ লিখে খোঁজ করলে বিস্তারিত জানা যাবে।
উল্লেখ্য, যন্ত্রটির উদ্ভাবক মো. হুমায়ুন কবীরের বাড়ি মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার বুনাগাতি গ্রামে। ২০১১ সালে যন্ত্র বানানোর কাজে হাত দেন হুমায়ুন। অনেক চেষ্টায় আজকের এই আধুনিক পরিবেশবান্ধব রুটি মেকার উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে পরিবেশ অধিদফতরের সম্মাননা পেয়েছেন এবং পেটেন্ট রেজিস্ট্রেশন করেছেন।
এসআই/এসকেডি/পিআর