সিনিয়রদের ত্যাগে দারুণ খুশি ম্যাশ
স্বস্তির জয়ে বছর শুরু টাইগারদের। অথচ দলের সিনিয়রদের ফর্ম যদি একটু বেঁকে বসতো, তাহলে হয়তো জয়টাই অধরা থেকে যেতো বাংলাদেশের। এ কারণেই সিনিয়রদের ত্যাগে দারুণ খুশি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ম্যাচ শেষে তাই সতীর্থদের প্রশংসাই ঝড়ে পড়লো অধিনায়কের কণ্ঠে।
শুক্রবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বেশ কিছু বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট ম্যানেজমেন্ট। বিশেষ করে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম আসরে মুশফিকুর রহিমের মত পরীক্ষিত খেলোয়াড়ের হাত থেকে কিপিং গ্লাভস নিয়ে নবাগত সোহানের হাতে তুলে দেওয়া। শুধু মুশফিকই নন। টি-টোয়েন্টিতে সাধারণত তিন-চারে ব্যাট করা সাকিব শুক্রবার ব্যাট করেছেন ছয় নাম্বারে। মুশফিকও করেছেন পাঁচ নাম্বারে। বিপিএলে দারুণ ব্যাটিংয়ের পর মাহমুদউল্লাহ ব্যাটিং করেছেন সাত নাম্বারে। অথচ দলের প্রয়োজনে সবাই তা হাসি মুখেই মেনে নিয়েছেন।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সতীর্থদের প্রশংসা পঞ্চমুখ মাশরাফি বলেন, ‘আমাদের আজকের সিদ্ধান্তগুলি খুব কঠিন ছিল। মুশি শেষ ১০-১২ বছর ধরে কিপিং করছে সব লেভেলে। সাকিবের সিদ্ধান্তটাও খুব কঠিন ছিল। তবে ভালো ব্যাপার হলো যে সিনিয়ররা ব্যাপারটি ভালেভাবেই নিয়েছে। দলের ভালোর জন্যই সবকিছু করা হয়। এখানে আমি মনে করি সাকিব ও মুশির ধন্যবাদ প্রাপ্য। ওরা ত্যাগ স্বীকার করেছে, দলের ভালোর কথা চিন্তা করেছে। হয়তবা কোনো ম্যাচে মুশিও কিপিং করবে। সবসময় একই থাকবে না।’
বাংলাদেশ ক্রিকেটে গত বছরের সাফল্যগুলো অধিকাংশই এসেছে দলগতভাবে। দলের প্রবীণ খেলোয়াড়রা যদি এমন ত্যাগ স্বীকার করেন তাহলে নতুন বছরেও সে সাফল্যের ধারা বজায় থাকবে বলে বাংলাদেশের লাখো ক্রিকেটভক্তের বিশ্বাস। একই বিশ্বাস রয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়কের কণ্ঠেও।
আরটি/আইএইচএস/এমএস