খুলনায় জ্বলে উঠলেন সেই মাসাকাদজা
হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। এক সময় সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে টেস্টে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন। ২০০১ সালের ঘটনা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। জিম্বাবুয়ের তখন সোনালি সময়। অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার, হিথ স্ট্রিক, অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলরা তখন ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করছেন। অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ডের মত ক্রিকেটের সুপারপাওয়ারদের সামনে চোখ উঁচিয়ে খেলার সামর্থ্য অর্জণ করে ফেলেছিল জিম্বাবুয়ে। ওই সময়ই আবির্ভাব ঘটে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ তারকা হিসেবে অভিষেকেই স্বীকৃতি পেয়ে গেলেন মাসাকাদজা।
এরপর তো জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটই হয়ে গেলো একটা ইতিহাস। সেই ইতিহাসের নীরব স্বাক্ষী হয়ে থাকলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। বয়সও পার হয়ে গেছে ৩২ বছর। দেশের ক্রিকেটের সঙ্গে নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে মাসাকাদজার ক্রিকেট ক্যারিয়ারও। টেস্টে দুর্দান্ত অভিষেক হলেও ওয়ানডেতে অভিষেকটা ছিল সাদামাটা। অভিষেকের ৬ষ্ঠ ইনিংস পর গিয়ে দেখা পেয়েছিলেন প্রথম হাফ সেঞ্চুরির দেখা। আর সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন ঠিক ৯ বছর পর, তাও বাংলাদেশের বিপক্ষে।
টি-টোয়েন্টি মাসাকাদজার অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে এই খুলনাতেই, ২০০৬ সালে। বাংলাদেশেরও ওটি ছিল টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ম্যাচ। মাসাকাদজার অভিষেকে ৩৫ রান করেছিলেন। ৯ বছর পর আবারও সেই মাঠে ফিরলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। যদিও আরব আমিরাতের শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে এসেছিলেন তিনি। শেষ ম্যাচে তিনি করেছিলেন ৬৩ রান। শেষ ওয়ানডেতে করেছিলেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। করেছিলেন ১১০ রান।
শারজার পারফরম্যান্সই তিনি ফিরিয়ে আনলেন খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে। টস জিতে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়েকে বড় সংগ্রহ এনে দেন তিনিই। ভুসি সিবান্দাকে নিয়ে গড়ে তোলেন ১০১ রানের জুটি। সিবান্দা ৪৬ রানে আউট হয়ে গেলেও হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ঝড় তুলতে থাকেন বাংলাদেশের বোলারদের ওপর। শেষ পর্যন্ত তাকে আউট করতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। ৭৯ রানে তিনি হলেন রানআউট। ৫৩ বলে ৯ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ফলে, বাংলাদেশের সামনে ১৬৩ রানের বড় চ্যালেঞ্জ গড়ে তোলে জিম্বাবুয়ে।
আইএইচএস/এমএস