অভিষেকের অপেক্ষায় ওরা তিনজন


প্রকাশিত: ০৯:২৫ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০১৬

তিন নতুন মুখের সমাহার। আবু হায়দার রনি, কাজী নুরুল হাসান সোহান এবং শুভাগত হোম চৌধুরী। এর মধ্যে প্রথম দু’জন সদ্য সমাপ্ত বিপিএলের আবিষ্কার। বাকিজন, অর্থাৎ শুভাগত হোম চৌধুরী বেশ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। অন্য দুই ফরম্যাটে বাংলাদেশ দলের ক্যাপ উঠে গেছে তার মাথায়। শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টির ক্যাপটা ওঠা বাকি।

অভিষেকটা হবে কার আজ? অধিনায়ক মাশরাফি এবং কোচ হাথুরুসিংকে কিন্তু বলেই দিয়েছেন, এই সিরিজটা দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার। এশিয়া কাপ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সর্বশেষ সুযোগ। সুতরাং মাশরাফি বলেই দিলেন, এই সুযোগ কাজে লাগাতে চাই।

পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ যেহেতু, তাতে অভিষেকটা যে কারও হয়েও যেতে পারে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। সেটা হতে পারে আবু হায়দার রনির, কিংবা ব্যাটসম্যান কাজী নুরুল হাসান সোহান, অথবা শুভাগত হোম চৌধুরীররও।

কাজী নুরুল হাসানের সম্ভাবনাটাই সবচেয়ে বেশি প্রতিয়মান হচ্ছে। কারণ, সাত নম্বরে দলের নিয়মিত সদস্য নাসির হোসেনকে এই সিরিজের দলে রাখা হয়নি। এই জায়গাটা হোল্ড করার জন্যই মূলত সোহানকে নেয়া। বাড়তি পাওনা হিসেবে সোহান উইকেটকিপিংও করেন। সুতরাং, মুশফিককে রিল্যাক্স রেখে সোহানের হাতে গ্লাভস তুলে দিতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট।

এ ক্ষেত্রে দল নির্বাচনে আরেকটা বিষয় বিবেচনায় আসতে পারে। শুভাগত হোম। মুশফিককে কিপিংয়ে রেখে সাত নম্বরে যদি তাকে খেলানো হয়, তাহলে ব্যাটিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে শুভাগতর স্পিনটাও বেশ কাজে আসবে। সুতরাং, আরেকজন অলরাউন্ডারের ভূমিকা পালন করতে পারবেন তিনি। এ ক্ষেত্রে শুভাগতই এগিয়ে।

বাকি থাকলেন আবু হায়দার রনি। বিপিএলের আবিষ্কার রনির কাছে গত বেশ কিছুদিন স্বপ্নের ঘোরের মতোই কেটেছে। বিপিএলে এত ভালো করে ফেলবেন, নিজেও হয়তো ভাবেননি। এরপরই স্বপ্নের মতো ঘটে যাচ্ছে সব ঘটনা। জাতীয় দলের প্রাথমিক ক্যাম্পে ডাক পাওয়ার পর অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেলেন মূল দলেও।

তবে তার জায়গা পাওয়াটা কঠিনই হবে। কারণ, পেসার হিসেবে মুস্তাফিজুর রহমান অটোমেটিক চয়েস। অধিনায়ক মাশরাফি তো আছেনই।  সুতরাং আরেকজন পেসার খেলানোর সম্ভাবনা খুব বেশি। অর্থাৎ তিন পেসার নিয়ে হবে একাদশ। সে ক্ষেত্রে তৃতীয় পেসার হিসেবে আল আমিন নাকি আবু হায়দার রনি? এ দু’জনের মধ্য থেকে একজনকে বাছাই করে নেবে ম্যানেজমেন্ট। এ পর্যায়ে এসে কিন্তু আল আমিনই এগিয়ে। তার অভিজ্ঞতার ঝুলি অনেক বেশি। বিপিএলেও দুর্দান্ত বল করেছিলেন।

এখন দেখার বিষয়, কার অভিষেকটা হয় প্রথম ম্যাচে। ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত দু’জনের অভিষেক হতে পারে এই ম্যাচে। দু’জন না হোক, অন্তত একজনের অভিষেক তো হচ্ছেই, এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।

একাদশ নিয়ে যতই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হোক, কোচ হাথুরুসিংহের অটোমেটিক চয়েস সাকিব আল হাসান এবং সৌম্য সরকার। সৌম্যের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করবেন তামিম ইকবাল। এরপর তিন নম্বরে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, চার নম্বরে মুশফিকুর রহিম, পাঁচ নম্বরে সাকিব, ছয় নম্বরে সাব্বির রহমান, সাত নম্বরে সোহান কিংবা শুভাগত, আট নম্বরে মাশরাফি, নয় নম্বরে আরাফাত সানি, ১০ নম্বরে মুস্তাফিজুর রহমান এবং ১১ নম্বরে মাঠে নামবেন আল আমিন কিংবা আবু হায়দার রনি।

জিম্বাবুয়ে আগে থেকেই একজনকে বাদ দিয়েছে। তিনি ডোনাল্ড তিরিপানো। পরিবর্তে দলে এসেছেন শন উইলিয়ামস। তিনি আবার অটোমেটিক চয়েস। যদিও ভুসি সিবান্দা এবং ব্রায়ান ভিতোরিকে খেলানো হবে কি না সেটা সিদ্ধান্ত হবে ম্যাচ শুররুর আগে।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, সাব্বর রহমান, নুরুল হাসান/শুভাগত হোম, মাশরাফি বিন মর্তুজা, আরাফাত সানি, মুস্তাফিজুর রহমান, আল আমিন হোসেন।

জিম্বাবুয়ের সম্ভাব্য একাদশ: চামু চিভাবা, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, রিচমন্ড মুতুম্বামি, শন উইলিয়ামস, ম্যালকম ওয়ালার, সিকান্দার রাজা, এলটন চিগুম্বুরা, লুক জংউই, গ্রায়েম ক্রেমার, তেন্দাই চিসোরো এবং নেভিল মাদজিভা।

আইএইচএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।