বাংলাদেশ অলিম্পিক দলকে হারিয়ে সেমিতে মালদ্বীপ
প্রথম ম্যাচে ভালোই লড়াই করেছিল বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-২৩ দল। যশোরের শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে শক্তিশালি বাহরাইনকে ঠেকিয়ে দিলেও, ঢাকায় এসে আর মালদ্বীপের সঙ্গে পেরে ওঠেনি। প্রথম ম্যাচে কম্বোডিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শুভ সূচনা করা মালদ্বীপ এই ম্যাচে বাংলাদেশের অলিম্পিক ফুটবল দলকে হারিয়েছে ২-০ গোলের ব্যবধানে। দুই ম্যাচ থেকে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে একই সঙ্গে সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেললো দ্বীপরাষ্ট্রটি।
এই ম্যাচে পরাজয়ের ফলে শেষ চারে ওঠার জটিল সমীকরণের মুখোমুখি হয়ে গেলো বাংলাদেশের যুবারা। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল খেলবে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে, ওই ম্যাচে জিতলেও কোনো লাভ হবে না, যদি আগের ম্যাচে মালদ্বীপ ও বাহরাইন ড্র করে বসে। সে ম্যাচটি ড্র হলে মালদ্বীপের পয়েন্ট হবে সাত, বাহরাইনের পাঁচ। সুতরাং, তারাই পাবে শেষ চারের টিকিট। তবে বাহরাইন যদি মালদ্বীপের কাছে হেরে যায় এবং বাংলাদেশ যদি কম্বোডিয়াকে হারাতে পারে, তাহলে গোল গড়ের হিসেবে সেমির ভাগ্য নির্ধারণ হবে।
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে মালদ্বীপ যে দলটি পাঠিয়েছে এদের নয়জনই খেলেছেন এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। সুতরাং, টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট হিসেবেই ধরা যায় তাদেরকে। অন্যদিকে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলেও রয়েছেন জাতীয় দলের আটজন খেলোয়াড়। তবুও, ব্যবধান ছিল স্পষ্ট। ম্যাচে খেলোয়াড়দের গতি, বলের নিয়ন্ত্রণ আর কৌশল- শুরু থেকেই আধিপত্যটা নিয়েদের করে নেয় মালদ্বীপ।
১৬ মিনিটে ইয়াসা ইসমাইলের গোলে এগিয়ে যায় মালদ্বীপ। মাঝমাঠ থেকে ক্ষিপ্র গতিতে বল নিয়ে বাংলাদেশের প্রান্তে প্রবেশ করেন আজি আসাদ। সেখান থেকেই বল দেন নাশিদ আহমেদকে। বল ঠিক মতো রিসিভ করতে না পারলেও কিছুটা পেছন দিকে গিয়ে ডান প্রান্তে ক্রস করেন নাশিদ। সেই ক্রস থেকেই খালি জায়গায় বলে পেয়ে কোনাকুনি শটে গোল করেছেন ইসমাইল।
ব্যবধান দ্বিগুণ করতে মালদ্বীপ সময় নিয়েছে মাত্র সাত মিনিট। ২৩ মিনিটে ওমর বাবুর ভুলে বাংলাদেশের প্রান্তে বল পেয়ে যান আলী আসাদ। সেই বল সামনে বাড়িয়ে দিলে তা পান ইয়াসা ইসমাইল। ডান প্রান্তে গোললাইন থেকে ডান দিকে কাট ব্যাক করেন তিনি। সেই কাট ব্যাকে পাওয়া বলে বাম দিকে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা ইমাজ আহমেদ গোল করেন। এতে ব্যবধান দ্বিগুণ করে মালদ্বীপ।
এরপর বাংলাদেশের ফুটবলাররা চেষ্টা করেও পারেনি গোলদুটি শোধ করতে। শুধু শোধ করা তো দুরে থাক, মালদ্বীপের জালই খুঁজে পায়নি গঞ্জালো সানচেজ মোরেনোর শিষ্যরা।
আইএইচএস/বিএ