অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন শচীন!
অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। বেশ কয়েকবছর আগের ঘটনা ছিল ওটা। আর একটু হলেই ট্রেনে কাটা পড়ছিলেন ভারতের লিটল মাস্টার। যদি দুর্ঘটনাটা ঘটেই যেতো, তাহলে কী অপুরনীয় ক্ষতিটাই না হয়ে যেতো ক্রিকেট বিশ্বের। ভাগ্যিস, শেষ মুহূর্তে গিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন টেস্ট ও ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিসংগ্রহকারী।
আসলে কী হয়েছিল ওইদিন? শচীন নিজেই জানিয়েছেন ঘটনাটা। অন্যমনস্কভাবে রেললাইন পার হচ্ছিলেন তিনি। ওই সময় যে পেছন থেকে একটি ট্রেন আসছে, দেখতে পাননি শচীন। একেবারে শেষ মুহূর্তে দেখলেন, যান্ত্রিক দানবটা একেবারে ঘাড়ের ওপর চলে এসেছে। সঙ্গে সঙ্গেই লাফিয়ে ট্রেন লাইন থেকে নেমে পড়ে প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন লিটল মাস্টার!
বৃহস্পতিবার (আজ) শচীন টেন্ডুলকার গিয়েছিলেন রেলের এসএএমইইপি (সেফটি অ্যালার্ট মেসেজ এক্সক্লুসিভলি ফর প্যাসেঞ্জার)–এর উদ্বোধনে। সেখানে গিয়েই শচীন ডুব দিলেন ছোটবেলার স্মৃতিতে। জানালেন, রেললাইন পার হতে গিয়ে প্রায় চলে যাচ্ছিলেন ট্রেনের নীচে। তিনি আর তার বন্ধু যাচ্ছিলেন অন্য আর এক বন্ধুর বাড়িতে। বলেন, ‘১১ বছর বয়স থেকে আমি ট্রেনে যাতায়াত করি। কিট ব্যাগ নিয়ে তখন ট্রেনে যেতে হত। এরকমও অবস্থা হয়েছিল যে ধাক্কা লেগে ট্রেনের বাইরে চলে যাচ্ছিলাম। যেটা আমি ভুলিনি।’
এর থেকেও ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছিল। বলেন, ‘একবার লাইন ক্রস করছিলাম। যখন আমরা লাইনের মাঝখানে তখন বুঝতে পারি দ্রুতগতিতে ওই লাইনে ছুটে আসছে ট্রেন। পিঠে বড় বড় কিটব্যাগ। কোনোমতে ট্র্যাক থেকে লাফিয়ে সেবার বেচেছিলাম। তার পর থেকে আর কখনও ওই রকম ঝুঁকি নিইনি।’
ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে বা ওভারব্রিজ ব্যবহার না করে কত মানুষ নিজেদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন। সেই হিসেব শুনে স্তম্ভিত শচীন। নিজের গল্প শুনিয়ে সবাইকে সাবধান থাকার পরামর্শই দিলেন মাস্টার ব্লাস্টার।
আইএইচএস/আরআইপি