বিমান জাতীয় গর্বের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত: ১১:৩১ এএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৬

বিমান জাতীয় গর্বের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে ‘মেঘদূত’ ও ‘ময়ূরপঙ্খী’ নামে দু’টি বোয়িং উড়োজাহাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে বিমান যাচ্ছে, আরো নতুন নতুন গন্তব্যে যাবে। আর এভাবেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আরো শক্তিশালী হবে। একটু কঠিন করে বললে বলতে হবে, মরা লাশে আমরা প্রাণের সঞ্চার করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নিজস্ব ক্যারিয়ারে দেশে আসতে চায়, তাদের সেই সুযোগ করে দেয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দায়িত্ব। এসময় যাত্রীসেবা বাড়িয়ে বিমানকে শুধু দেশের মানুষের কাছে নয়, বিদেশিদের কাছেও জনপ্রিয় করে তোলার তাগিদ দেন তিনি।

১৯৯৬ সালের আগে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বেহাল দশার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে কথা ও চিত্র সবারই মনে আছে। এখন বিমানবন্দর, রানওয়ের মান উন্নত হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট আন্তর্জাতিক বন্দর হিসেবে ব্যবর্হত হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতেও বিমান তার ফ্লাইট পরিচালনা করে সচল করে তুলেছে।

সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে একটি আঞ্চলিক বন্দরে পরিণত করার সম্ভাবনা ও প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশা করি এই বিমান বন্দরটিকে আমরা আরও উন্নত করে গড়ে তুলতে পারবো। তাতে ভারতসহ প্রতিবেশি দেশগুলোতে ফ্লাইট পরিচালনা সহজ হবে। আর তার মধ্য দিয়েই এর বাণিজ্যিক গুরুত্ব বাড়বে।

নতুন বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মেঘদূত ও ময়ূরপঙ্খীর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ রুটগুলোর পাশাপাশি আঞ্চলিক রুটগুলোতেও এই ফ্লাইট পরিচালনা করা যাবে।

Hasina
বিমানকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বিমান শুধু আপনাদের জীবন-জীবিকার পথই নয় একটি জাতীয় প্রতীক, যা দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে। বিমান আপনাদেরই প্রতিষ্ঠান। সুনাম কুড়ালে তা আপনাদের গর্বের হবে, না হলে তা হবে লজ্জার।’

বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইন্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী পরিবহন করবে ১৬২ আসনের নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৩৭-৮০০। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজ দুটি এখন বিশ্বের সেরা এয়ারক্রাফট। উড়োজাহাজ দুটির নামকরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে।

এর আগে বিমান বহরে যোগ হয়েছিল বোয়িং কোম্পানির আরো ৪টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ। ওই চারটি উড়োজাহাজের নামও দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। এগুলোর নাম হলো যথাক্রমে পালকি, অরুণ আলো, রাঙাপ্রভাত ও আকাশ প্রদীপ।

বোয়িং কোম্পানির নিজস্ব ৬টি ব্র্যান্ড নিউ উড়োজাহাজ এখন বিমানের বহরে আছে। বর্তমান সরকারের আমলে আরো ৪টি নতুন ড্রিমলাইনার যুক্ত হবে বিমান বহরে। এটা সম্ভব হলে বিমান হবে স্বপ্নের এয়ারলাইন্স। আগামী ৬ মাসের মধ্যে বিমানের গ্রাউন্ড সার্ভিসে বিদেশি পার্টনার সংযোগ হবে। এরপর আর লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ে যাত্রী দুর্ভোগ থাকবে না।

অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বিমান পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল জামাল উদ্দিন আহমেদ ও বিমানের ভারপ্রাপ্ত এমডি উইং কমান্ডার (অব.) আসাদুজ্জামানসহ বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বিমানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরএম/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।