কর্মবিরতিতে স্থবির ইবির শিক্ষা কার্যক্রম
অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে অর্থমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতি, অন্যান্য বৈষম্য দূরীকরণ এবং বেতন কাঠামো পুনঃনির্ধারণের দাবিতে শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনে অচল হয়ে পড়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।
মঙ্গলবার কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনে একটি বিভাগ ক্লাস ছাড়া কোনো বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম চলছে। শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে গা ভাসিয়ে দিয়েছে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। ফলে শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রশাসনিক কার্যক্রমেও দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন কর্তৃক ঘোষিত পূর্ব নিবর্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইবি শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে শিক্ষকরা এ কর্মবিরতি পালন করেছে। লাগাতার কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার কোনাে বিভাগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। পূর্ব নির্ধারিত দুইটি চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী।
বিভাগগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আল ফিকহ বিভাগে একটি ক্লাস ছাড়া কোনো বিভাগের ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষকদের কর্মবিরতির সুযোগ নিয়ে অফিস ফাঁকির হিড়িক পড়েছে কর্মকর্তাদের মাঝে। প্রশাসন ভবনে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ অফিস খোলা থাকলেও উপস্থিত নেই কর্মকর্তারা। আবার যারা ক্যাম্পাসে এসেছে তাদের অফিসে না বসে বিভিন্ন চায়ের দোকানে আড্ডায় মেতে থাকতে দেখা গেছ। ফলে শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি স্থবির হয়ে পড়েছে ইবির প্রশাসনিক কার্যক্রম।
এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকবারী বলেন, `সরকার এবং শিক্ষক নেতাদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাময়িক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আমি আশা করছি এ অচলাবস্থার খুব দ্রুত একটি সমাধান হবে।`
এসএস/পিআর