প্রধানমন্ত্রীর জন্যই বঙ্গবন্ধু কাপের সূচিতে পরিবর্তণ


প্রকাশিত: ০৩:৩০ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৬

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের নির্ধারিত সূচীতে কোন বিশ্রামের দিন বরাদ্ধ ছিল না। দুই পর্বে যশোর এবং ঢাকায় টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় আয়োজক কমিটি। যে মতে যশোরে নির্ধারিত চারদিনের চারটি ম্যাচও অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। সূচি অনুযায়ী মঙ্গলবারই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ঢাকা পর্বের প্রথম ম্যাচ।

কিন্তু; হঠাৎ করেই একদিন পিছিয়ে দেয়া হলো বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ঢাকা পর্ব। তৈরী করা হলো বিশ্রামের দিন। শুধু তাই নয়, ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনাল; কিন্তু ফাইনাল দু’দিন পিছিয়ে তারিখ নির্ধারণ করা হলো ২২ জানুয়ারি।

কেন, হঠাৎকরে সূচিতে এতবড় রদবদল! কারণটা জানালেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। বাফুফে ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মূলতঃ প্রধানমন্ত্রীকে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে পাওয়ার জন্যই সূচিতে পরিবর্তণ করা হয়েছে।’

পূণঃ নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ১৮ এবং ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দুটি সেমিফাইনাল। ২০ ও ২১ তারিখ বিশ্রাম দিয়ে ২২ তারিখ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল।

আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ‘বাফুফে প্রেসিডেন্ট কাজী সালাউদ্দিন প্রধানমন্ত্রীকে ফাইনালে উপস্থিত থেকে বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি তুলে দেয়ার আমন্ত্রণ জানান। তবে প্রধানমন্ত্রীর যেহেতু নানা ব্যস্ততা থাকে, নানা অনুষ্ঠানের সূচি ঠিক করা থাকে, সে হিসেবে তিনি ২২ জানুয়ারির আগে সময় বের করতে পারছিলেন না। পরে যখন ২২ জানুয়ারি উপস্থিত থাকার সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন, তখন সূচিতে পরিবর্তণ আনতে হলো।’

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলোচনায় বাফুফে প্রেসিডেন্ট কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নামে টুর্নামেন্ট, আর সেখানে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন না, তা কি করে হয়! এ কারণেই আমরা প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনিও উপস্থিত থাকার সম্মতি দিয়েছেন। সবচেয়ে বড় কথা, শুক্রবার তিনি কোন সূচিই রাখেন না। কোথাও বের হন না। তবুও ২২ জানুয়ারি, শুক্রবার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে উপস্থিত থাকবেন বলে আমাদের সম্মতি দিয়েছেন। হয়তো তিনি ফুটবলকে ভালোবাসেন বলেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’

আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।