মাগুরায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মধু চাষ শুরু


প্রকাশিত: ০৪:১৫ এএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৬

মাগুরার বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শুরু হয়েছে মৌমাছির মাধ্যমে মধু সংগ্রহের কার্যক্রম। সদর উপজেলার টিকেরি, সিতারামপুর, ইছাখাদা, কাঁশিনাথপুর, আলমখালী, শালিখা উপজেলার আড়পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে মাঠে থাকা সরিষা ক্ষেতকে কেন্দ্র করে ৩০টি মৌ খামার বসিয়েছে এই কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত খামারিরা। মাগুরার মধু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রফতানি হচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

সদরের টিকেরি গ্রামসহ একাধিক এলাকা ঘুরে দেখা গেছে , প্রতিটি খামারে কাঠের বাক্সের মধ্যে থাকা কৃত্রিম উপায়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের মৌ তাতের মাধ্যমে খামারিরা এসব মধু সংগ্রহ করছেন। খামারিদের দেয়া তথ্য মতে জেলায় এ বছর প্রতিটি খামার থেকে ৫০ থেকে ১শ` মণ মধু উৎপন্ন হবে। সে হিসেবে মোট মধু উৎপাদনের পরিমাণ দেড় হাজার থেকে ৩ হাজার মনে দাড়াবে।

মৌ চাষি আবু বক্কর জাগো নিউজকে জানান, মৌ চাষের মাধ্যমে তারা নিজেরা অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন। পাশাপাশি মৌমাছির মাধ্যমে পরাগায়নের ফলে সরিষার ফলন ভালো হওয়ায় চাষিদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে।

Mou

টিকারি গ্রামের কৃষক মহম্মদ আলী জাগো নিউজকে বলেন, তিনিসহ অনেক চাষি প্রতিবছরই এসব মৌ খামারিদের নিজেদের সরিষা ক্ষেতে নিয়ে আসেন। এতে তারা বিঘা প্রতি ৭ থেকে ৮ কেজি সরিষার দানা বেশি পেয়ে থাকেন। তাদের দেখাদেখি ও কৃষি বিভাগের সহযোগিতার কারণে মাগুরা সদরের ৬/৭টি গ্রামের মাঠে মাঠে সরিষা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে অন্যদিকে, মধু সংগ্রহের মাধ্যমে অনেক শিক্ষিত বেকার স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন।

দেশের অনেক নামিদামি ওষুধ কোম্পানি মাগুরা থেকে মধু কিনছে তাদের কাঁচামাল হিসেবে। তবে উন্নত বাজার ব্যবস্থা না থাকার কারণে মৌ চাষিরা তাদের সংগৃহীত মধুর ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না বলে দাবি করেছেন।

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক পার্থ প্রতিম সাহা জাগো নিউজকে জানান, এ বছর জেলায় ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। এই সরিষা ক্ষেত ঘিরে বসা মৌ খামারগুলো অধিক সরিষা উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এ কারণে তারা মৌ চাষিদের উদ্বুদ্ধ করছেন।

মো. আরাফাত হোসেন/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।