মেসি যেন এক অলৌকিক!


প্রকাশিত: ০৭:০৩ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০১৬

বছরের প্রথম হ্যাটট্রিকটা করে ফেললেন লিওনেল মেসি। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে বার্সেলোনায় যোগ দেয়া মিডফিল্ডার আরদা তুরান একেবারে চোখের সামনে দেখলেন মেসির হ্যাটট্রিক এবং তার খেলা। এমনিতেই আর্জেন্টাইন এই ফুটবলারের গুণমুদ্ধ তিনি। চোখভরে মেসির খেলা দেখেন তিনি।

এবার চোখের সামনে হ্যাটট্রিকসহ সুপার পারফরম্যান্স দেখে আর নিজেকে চুপ রাখতে পারলেন না। বলেই ফেললেন, ‘মেসিকে তো আমার মনে হয়, ইশ্বরের কাছ থেকে পাঠানো এক অলৌকিক।’

অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে বার্সায় নাম লেখানোর পর চারদিন আগেই বার্সার হয়ে কোপা দেল রেতে অভিষেক হয়েছিল, আর গতকালই প্রথম লিগে বার্সেলোনার হয়ে মাঠে নামলেন এই তুর্কি মিডফিল্ডার। প্রথমবার লিগে মাঠে নামলেন মেসির পাশেও। নেমেই বাজিমাত!

দল জিতেছে ৪-০ গোলে, হ্যাটট্রিক করে তাতে মেসিই মূল নায়ক। তবে তুরানের অবদানও কম নয়। মেসিকে দিয়ে প্রথম গোলটি করিয়েছেন তিনি। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের হ্যাটট্রিক গোলটাতেও ভূমিকা রেখেছে তুরানের দুর্দান্ত এক ডামি।

মেসির সঙ্গে একসঙ্গে খেলতে পেরে কেমন লাগলো? এমন প্রশ্নের জবাবে মুগ্ধতাই ঝরলো তুরানের কণ্ঠে। তুর্কি পত্রিকা সাবাহকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বার্সার নতুন নাম্বার সেভেন বললেন, ‘লিও মেসির মতো কাউকে দেখিনি। ও ঈশ্বরের অবিশ্বাস্য এক উপহার। মাঠে সে তার কাজগুলো যখন করে, দেখতে বেশ ভালো লাগে। ঈর্ষা থেকে বলছি না- আমার আসলেই ভালো লাগে, যখন ধরুন, ও কাউকে নাটমেগ (প্রতিপক্ষের পায়ের ফাঁক দিয়ে বল নিয়ে যাওয়া) করে।’

ভালো লাগা তো আছেই, সঙ্গে মেসির সঙ্গে তার রসায়নটাও যেন জমে উঠেছে। মাত্র দুটি ম্যাচই গেছে, এখনই কিছু বলা মুশকিল। তবে মাঠে মেসি-তুরানের মধ্যে যুগলবন্দী বার্সা সমর্থকদের আরও ভালো কিছুরই স্বপ্ন দেখাচ্ছে। তুরান কাল ম্যাচ শেষে জবাব দিলেন বার্সায় তার যোগ দেয়ার কারণ নিয়ে সব প্রশ্নেরও।

মেসির সঙ্গে খেলার কারণ তো আগেই জানিয়েছেন, এবার জানালেন বার্সেলোনা কোচের ভূমিকার কথাও, ‘লুইস এনরিকে আমার বল ধরে রাখার ক্ষমতার জন্য, আর আমার জয়ের ইচ্ছা ও কঠোর পরিশ্রম করার ক্ষমতার জন্য দলে চেয়েছিলেন। আমি সবাইকে দেখিয়ে দিতে চাই কেন আমাকে দলে নেয়া হয়েছে।’

আইএইচএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।