মোহনগঞ্জে ট্রেনে ডাকাতি : গৌরীপুরে ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের বিক্ষোভ


প্রকাশিত: ১০:১৯ এএম, ১০ জানুয়ারি ২০১৬

মোহনগঞ্জ থেকে রোববার রাতে ছেড়ে আসা ২৬৩ আপ ট্রেনে ডাকাতির ঘটনায় গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনে ট্রেন থামিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীরা বিক্ষোভ করেছে। যাত্রীদের অভিযোগ, ঘটনার সঙ্গে রেলওয়ে কর্মকর্তা-পুলিশ জড়িত রয়েছে।

এদিকে গ্রামবাসী রাতভর ডাকাতদের ধাওয়া করে পুকুরের কচুরিপানার ভেতর থেকে ২ জনকে আটক করেছে। আটকরা হলেন, আ. সেলিম (৩০) ও কাউসার (২৪)। তাদের সোমবার সকালে পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছে।

ডাকাতিকালে ডাকাতরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনসহ প্রায় ২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রীরা জানান, ট্রেনটি শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে প্রায় ৩০ মিনিট যাত্রা বিরতি করে। এসময় কর্তব্যরত পুলিশ ময়মনসিংহগামী যাত্রীদের প্রথম কোচে ও গৌরীপুরের যাত্রীদের দ্বিতীয় কোচে উঠার নির্দেশ দিয়ে তিনি যাত্রীবিহীন তৃতীয় কোচে উঠেন। ট্রেন ছাড়ার পরপরই লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়। প্রথম কোচে যাত্রীবেশে উঠা ডাকাতদলের ৭জন যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রায় ২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেয়। ডাকাতদের অস্ত্রাঘাতে এসময় ৬ জন যাত্রী আহত হয়। ট্রেনটি গৌরীপুর স্টেশনের আউটার সিগন্যালের সন্নিকটে ভালুকা এলাকায় এলে গতি কমায় ডাকাতদলের সদস্যরা নেমে যায়।

গৌরীপুর স্টেশনে ট্রেনটি এলেই ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীরা ট্রেন অবরোধ করে কর্তব্যরত পুলিশকে ধাওয়া ও ট্রেনের কর্মকর্তারা জড়িত থাকার অভিযোগে এনে বিক্ষোভ মিছিল করে।

ডাকাতরা ভালুকা এলাকায় নেমে যাওয়ায় রাতভর গ্রামবাসী ওদের তাড়া করে পুকুরে কচুরিপনার নিচে লুকিয়ে থাকা আ. সেলিম ও কাউসারকে আটক করে রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে।

যাত্রীদের বিক্ষোভ ও ডাকাতির ঘটনায় মামলা স্বীকার করে গৌরীপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ নিরঞ্জন সরকার জানান, আটক ২ ডাকাতকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।

আতাউল করিম খোকন/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।