লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র ফজিলত


প্রকাশিত: ০৭:৩০ এএম, ০৯ জানুয়ারি ২০১৬

মুসলমানের নিকট লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র মর্যাদা সীমাহীন। এটা এমন একটা বাক্য যা একজন মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসে। জীবনে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়। তবে শর্ত হলো এ বাক্যটিকে মুখে অন্তরে এবং বাস্তবে বিশ্বাস করতে হবে। এ বাক্যের ফজিলত বর্ণনায় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা এসেছে-

Kalima-Inner

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর নবি নূহ আলাইহিস সালামের মৃত্যু কালে তাঁর ছেলেকে বলেন, আমি তোমাকে অসিয়ত করছি। দু’টি জিনিসের নির্দেশ করছি এবং অপর দু’টি নিজিস থেকে নিষেধ করছি। আদেশ করছি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র। স্মরণ রাখ! যদি সাত আসমান ও সাত জমিন এক পাল্লায় রাখা হয় আর অপর পাল্লায় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ রাখা হয়। তবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র পাল্লা ভারি হবে। যদি সাত আসমান ও সাত জমিন একটি অবিচ্ছদ্য গোলাকার বৃত্ত হত, তাহলে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ও ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ সবকিছুকে চুর্ণ-বিচুর্ণ করে ফেলতো। ইহা প্রতিটি জিনিসের দোয়া এবং এর মাধ্যমেই সৃষ্টিরাজি রুজি পেয়ে থাকে। আর তোমাকে নিষেধ করি শিরক ও অহংকার থেকে। (মুসনাদে আহমাদ, বুখারি, আদাবুল মুফরাদ)

সুতরাং আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র ফজিলত অর্জনের তাওফিক দান করুন। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র হক আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।