উৎসব-উত্তেজনায় মাতোয়ারা যশোর


প্রকাশিত: ০১:৩২ পিএম, ০৮ জানুয়ারি ২০১৬

ফুটবলপ্রেমীদের ঢলে জোয়ার এসেছে যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে। ফিরেছে যশোরের ফুটবলের প্রাণ। দর্শকের দীর্ঘদিনের পিপাসা মেটাতে যেন বাংলাদেশ-শ্রীলংকা মাঠে নেমেছে। উত্তেজনাপূর্ণ বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচ দেখতে কানায় কানায় ভরে ওঠে পুরো স্টেডিয়াম। ১২ হাজার দর্শক বিরামহীন ভুভুজেলা’র বাজিয়ে জানান দিয়েছেন ফুটবলকে কতটা ভালোবাসে যশোরের মানুষ।

বাংলাদেশ-শ্রীলংকার উদ্বোধনী ম্যাচ শুরু হয় ২টা ৪৫ মিনিটে। এর প্রায় ৩ ঘণ্টা আগে বেলা ১২টায় দর্শকদের প্রবেশ পথ খুলে দেয়া হয়। আগে থেকেই টিকিট কিনেছেন অনেকে। আবার অনেকে কিনেছেন স্টেডিয়ামে এসে। গ্যালারি দখলে ১২টার পর থেকেই দর্শকরা ঢুকতে থাকেন। দুপুর পৌনে ৩টার আগেই দর্শকে পূর্ণ হয়ে যায় স্টেডিয়ামের প্রায় সব গ্যালারি।

ফুটবলের জন্য দর্শকরা যে এখনও ব্যাকুল সেটা শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে দেখা গেল। হাজার হাজার দর্শক স্টেডিয়ামে অবস্থান করে বিরামহীন উত্তেজনায় মগ্ন হয়ে পড়ে। পৌণে ৩টায় শুরু হওয়া ম্যাচে পাল্টাপাল্টি আক্রমণে দর্শকের উচ্ছাসে ঢেউ খেলে যায়। প্রিয় দলের খেলোয়াড়দের আক্রমণ ও গোলে বাধভাঙ্গা উচ্ছাসে মাঠ কাঁপিয়ে তোলেন তারা। পাশাপাশি মামনুলদের কোনো ভুল বা মিসে হতাশা ব্যক্ত করেন দর্শকরা।

মাঠে উপস্থিত যশোর এমএম কলেজের শিক্ষার্থী কামাল হোসেন জানান, এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ দেখতে এসেছি। এই ম্যাচে বাংলাদেশ জয়ী হবে আশা করছি। প্রিয় দলকে উৎসাহ দিতে বন্ধুরা মিলে মাঠে এসেছি। চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা অনার্স পড়ুয়া শাহীন আহমেদ জানান, সকাল ৯টায় তিনি চুয়াডাঙ্গা থেকে যশোরে এসেছেন বাংলাদেশ-শ্রীলংকার মধ্যকার খেলা দেখার জন্য। এর আগে ২০১৪ সালের এ মাঠে খেলা দেখতে এসেছিলেন। সেইবার ম্যাচ দেখতে অসুবিধা হয়েছিল। তাই এবার আগেভাগেই এসেছেন। বাংলাদেশ দলকে উৎসাহ দিতেই গ্যালারিতে উপস্থিত হয়েছেন।

শুধু কামাল কিংবা শাহীন নয়, তাদের মত হাজারো ফুটবলপ্রেমী এসেছিলেন স্টেডিয়ামে। তাদের উৎসাহ উদ্দীপনায় প্রাণ পেয়েছে বাংলাদেশের ফুটবল। প্রথম ম্যাচের শেষটা হয়েছে ৪-২ এর ছকে। বাংলাদেশের জয়। উচ্ছাসিত দর্শক, খেলোয়াড়, আয়োজক। উদ্বেলিত হয়েছে গোটা বাংলাদেশ।
 
আরটি/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।