আবারো বিচার চান ফেলানীর বাবা-মা
ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচার মনোপুত না হওয়ায় আবারো এর বিচার চেয়েছেন তার বাবা নুরুল ইসলাম ও মা জাহানার বেগম। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে ফেলানী দিবস উদযাপন উপলক্ষে নাগরিক পরিষদের আলোচনা সভয়ে তারা এ দাবি জানান।
তারা বলেন, হত্যাকারী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের কোনো বিচার হয় নি। বাংলাদেশ বিচার পায়নি।
আলোচনা সভায় সভাপতি নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মো. শামসুদ্দীন বলেন, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থানার অনন্তপুর সীমান্তে নুরুল ইসলামের সামনে তাঁর নিষ্পাপ কুমারী মেয়ে ফেলানীকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে। এ হত্যার বিচার আর ক্ষতিপূরণের জন্য ঘুরছে ফেলানীর পরিবার।
তিনি বলেন, আমাদের সার্বভৌমত্বই আমাদের স্বাধীনতা। বার বার বিএসএফ আমাদের সার্বভৌমত্ব লংঘন করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে এদেশের নাগরিকদের হত্যা নির্যাতন করছে, নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৬ জন নিরীহ বাংলাদেশি ভারত সীমান্তে খুন হয়েছেন।
সভাপতি বলেন, বিশ্বব্যাপী সীমান্ত হত্যা বন্ধে প্রতিবছর ৭ জানুয়ারি ফেলানী দিবস পালনের জন্য আমরা জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছি।
অনুষ্ঠানে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ও মা জাহানারা বেগম কান্নাভেজা কন্ঠে ফেলানীর বিচার ও অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে সকলের নিকট আবেদন জানান।
অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কমরেড সাইফুল হক সাধারণ সম্পাদক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, সাইফুল ইসলাম শিশিরসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
এএম/এসএইচএস