খুলনায় মুক্তিযুদ্ধকালে গণহত্যার স্থান চিহ্নিত করে স্মৃতিফলক
১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে খুলনা অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি গল্লামারী বধ্যভূমি। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান রেডিও স্টেশন (গল্লামারী রেডিও সেন্টার) ভবনে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী মানুষদের ধরে এনে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করে গল্লামারী নদীতে ফেলে দেয়া হতো।
বিজয় দিবসের পর এই গল্লামারী বধ্যভূমিতে হাজার হাজার মানুষের নর-কঙ্কাল পাওয়া যায়। নাম না জানা হাজার হাজার শহীদদের স্মৃতি বহন করে দাঁড়িয়ে আছে গল্লামারীর এই বেতার কেন্দ্রের বধ্যভূমি। এই বধ্যভূমিকে ঘিরে গড়ে ওঠে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। গণহত্যা ও নির্যাতন কেন্দ্র বেতার ভবন হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবন।
বুধবার বিকেলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের পাশে ইতিহাসের এই কলঙ্কজনক স্থানটি চিহ্নিত করে স্মৃতিফলক উন্মোচন করেন ইতিহাসবিদ ড. মুনতাসির মামুন। এ সময় বক্তব্য রাখেন ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর-এর ট্রাস্টি সভাপতি ইতিহাসবিদ ড. মুনতাসির মামুন, ট্রাস্টি সম্পাদক ডা. শেখ বাহারুল আলম, ট্রস্টি কোষাধ্যক্ষ শংকর কুমার মল্লিক, হুমায়ুন কবির ববি, চৌধুরী শহীদ কাদের, অধ্যাপক ড. চৌধুরী শহিদুল ইসলাম।
প্রফেসর ড. মুনতাসির মামুন বলেন, আমরা ১৯৭১ : গণহত্যা- নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেছি বর্তমান প্রজন্মকে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং রাজাকার-আলবদর-আল শামস বাহিনীর গণহত্যা-নির্যাতন স্মৃতি চিহ্ন হিসেবে রয়েছে তা জানানোর লক্ষ্যে।
সেই ধারাবাহিকতায় আজ খুলনা অঞ্চালের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি ‘গল্লামারী বধ্যভূমি’ চিহ্নিত করে স্মৃতিফলক উন্মোচন করা হলো। আর্কাইভের পক্ষ থেকে সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যা নির্যাতন কেন্দ্র, গণকবর ও বধ্যভূমি চিহ্নিত করে সেসব জায়গায় স্মৃতিফলক স্থাপন করা হবে।
আলমগীর হান্নান/বিএ