ড্র’ই হলো কেপটাউন টেস্ট
গতি-প্রকৃতি কিংবা চরিত্র, যাই বলুক না কেন, কেপটাউন টেস্টের এসব দেখে যে কেউ চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারছিল, অমিমাংসিতই থেকে যাবে এই ম্যাচ। যেখানে প্রথম ইনিংসেই দু’দলের রান পার হয়েছে ৬০০’র ওপর। যেসখানে অবধারিতভাবেই ড্র হওয়ার কথা এবং হলোও তাই।
চতুর্থ দিনই যখন হাশিম আমলার ডাবল সেঞ্চুরিতে ৬২৭ রানে গিয়ে ইনিংস ঘোষণা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, তখনই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল টেস্টের ভাগ্য। তবুও হাশিম আমলা ইনিংস ছেড়ে দিয়েছিল যদি ইংল্যান্ডের উইকেট নেয়া যায় দু-একটা। তবে, ব্যাড লাইটের কারণে চতুর্থ দিন বিকালে ইংল্যান্ড মাত্র ৬ ওভার খেলার পরই ম্যাচ বন্ধ করে দেন আম্পায়াররা।
পঞ্চম দিন সকালে অবশ্য ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের ওপর ভালোই চেপে বসেছিল প্রোটিয়া বোলাররা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিতে শুরু করেছিল তারা। তাতেও ম্যাচ মীমাংসার দিকে যাবে- এমন নিশ্চয়তা ছিল না। অবশেষে যখন ইংল্যান্ডের রান ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৯- তখনই বৃষ্টি নামে।
শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিল অবশ্য আম্পায়াররা। কিন্তু যখন দেখলো যে আর খেলা মাঠে গড়ানো সম্ভব নয়, তখন দিনের বাকি খেলা বাতিল করতে বাধ্য হন তারা। ফলে, দারুন একটি টেস্ট শেষ মুহূর্তে রোমাঞ্চ না জাগিয়ে বৃষ্টির কারণে ড্র হতে বাধ্য হলো। শেষ দিনের খেলা ৩১ ওভার বাকি থাকতেই শেষ হলো খেলা।
খেলা শেষ হওয়ার আগে অবশ্য ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা ব্যার্থতার পরিচয়ই দিচ্ছিলেন। সর্বোচ্চ ৩০ রান এসেছিল ক্রিজে থাকা জনি ব্যারেস্টর ব্যাট থেকে। এছাড়া ২৯ রান করেন জো রুট। ২৭ রান করেন জেমস টেলর, ২৬ রান করেন প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরিয়ান বেন স্টোকস। প্রোটিয়াদের মধ্যে স্পিনার ড্যান পিট নেন ৩ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন মরনে মর্কেল, কাগিসো রাবাদা এবং ক্রিস মরিস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ৬২৯/৬, ডি. ১২৫.৫ ওভার (বেন স্টোকস ২৫৮, জনি ব্যারেস্ট ১৫০*, আলেক্স হেলস ৬৯, জো রুট ৫০; রাবাদা ৩/১৭৫) ও ১৫৯/৬ (ব্যারেস্ট ৩০*, রোট ২৯, টেলর ২৭, স্টোকস ২৬; ড্যান পিট ৩/৩৮)।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৬২৭/৭ ডি. ২১১ ওভার (হাশিম আমলা ২০১, ভাবুমা ১০২*, ডি ভিলিয়ার্স ৮৮, ড্র প্লেসিস ৮৬, মরিস ৬৯, এলগার ৪৪; স্টুয়ার্ট ব্রড ২/৯৪, ফিন ২/১৩২)।
ফল: ম্যাচ ড্র। ম্যাচ সেরা: বেন স্টোকস।
আইএইচএস/এমএস