আমলা-ডি ভিলিয়ার্সে প্রোটিয়াদের লড়াই
হাশিম আমলা কবে একটা হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন, তা সম্ভবত তিনি নিজেও ভুলে গেলেন। কী ওয়ানডে আর কী টেস্ট- হাশিম আমলা পুরো ২০১৫ সালে ছিলেন যেন ব্যর্থতার এক মূর্ত প্রতীক। টেস্টে তো সর্বশেষ হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন গত বছর জানুয়ারিতে কেপটাউনেই। এরপর ৭টা টেস্ট ম্যাচ খেলে তার সর্বোচ্চ ইনিংস কেবল ৪৩ রানের। আর ওয়ানডের কথা বললে অবশ্য, সময়টা একটু এগিয়ে আনতে হবে।
গত মার্চে ক্যানবেরায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫৯ রানের ইনিংস খেলার পর মাঝে সেঞ্চুরিয়নে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন ১২৪ রানের ইনিংস। এর আগে এবং পরে ১৪টি ম্যাচ খেলেছেন আমলা। এই ১৪টি ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করেছিলেন ৪৪।
এতটাই দৈন্যদশা দক্ষিণ আফ্রিকাই নয় শুধু, বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের। অবশেষে সেই কেপটাউনেই সম্ভবত ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছেন আমলা। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের করা ৬২৯ রানের বিশাল স্কোরের চ্যালেঞ্জে ব্যাট করতে নেমে প্রথমে ডিন এলগার, এরপর আমলা এবং ডি ভিলিয়ার্স লড়াই অব্যাহত রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দ্বিতীয় দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর অবশ্য ২ উইকেট হারিয়ে ১৪১। ৮৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ার পর দিনের বাকি অংশ স্বাচ্ছন্দে কাটিয়ে দেন আমলা এবং ডি ভিলিয়ার্স। ৬৪ রানে উইকেটে রয়েছেন আমলা। আর ২৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন ডি ভিলিয়ার্স। দু’জনের জুটি ৫৬ রানের। ইংল্যান্ডের চেয়ে যদিও ৪৮৮ রানে পিছিয়ে রয়েছে স্বাগতিক প্রোটিয়ারা।
বেন স্টোকসের রেকর্ড ডাবল সেঞ্চুরির স্কোর করে (২৫৮) ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৬২৯ রানে পৌঁছে দেন। ১৫০ রানে অপরাজিত থাকেন জনি ব্যারেস্ট। জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৭ রানে ওপেনার স্টিয়ান ফন জিলের উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪ রান করে রানআউট হয়ে যান ফন জিল। এরপর ডিন এলগারের সঙ্গে ৭৮ রানের জুটি গড়েন হাশিম আমলা। ওই সময় ব্যক্তিগত ৪৪ রানে বেন স্টোকসের বলে কম্পটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ডিন এলগার।
আইএইচএস/জেডএইচ/এমএস