পাট আইন-২০১৬ অনুমোদন
পাট শিল্পকে সুরক্ষা দিতে আইনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। আইনে তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানার সুযোগ রাখা হয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে পাট আইন ২০১৬’এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি বলেন, পাট অধ্যাদেশ ১৯৬২ সালে জারি করা হয়। সর্বোচ্চ আদালতের রায় ও মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দু্টি সামরিক শাসনামলের জারিকৃত প্রয়োজনীয় অধ্যাদেশ বাংলায় অনুবাদ করে আইনে পরিণত করতে এ আইন উপস্থাপন করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনটি করতে যত দূর সম্ভব আগের আইনটিকে অনুসরণ করা হয়েছে। তবে আগের আইনে শাস্তির বিষয়টি ছিলো না। প্রস্তাবিত আইনে ৩২টি ধারা রয়েছে।
সচিব আরো বলেন, এর মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদন, গবেষণা ও উদ্ধুদ্ধকরণে সরকারের ক্ষমতা, পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবসায়ে সরকারের ক্ষমতা, লাইসেন্স প্রদান, মূল্য নির্ধারণ, উন্নয়ন ফি আরোপ, উন্নয়ন তহবিল গঠন, চুক্তি নিবন্ধন, বিক্রয়, নিষিদ্ধকরণ ক্ষমতা, বিক্রয় নির্দেশনা প্রদান ক্ষমতা, তথ্যাদি তলবের ক্ষমতা, হিসাব বহির্ভূত মজুদ আটক করার ক্ষমতা, মিথ্যা বিবৃতি বা আইন লঙ্ঘনের দণ্ড, দায়মুক্তি ও জরিমানা ইত্যাদি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইন লঙ্ঘণে সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছরের কারাদণ্ড বা ১ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড। তিন বছরের কারাদণ্ডের কথা অধ্যাদেশেই রয়েছে। জরিমানার কথাও ছিল তবে তার সীমা নির্দিষ্ট করা ছিল না। প্রস্তাবিত আইনে জরিমানা ২৫ হাজার করার প্রস্তাব ছিলো। তবে মন্ত্রিসভা তা বাড়িয়ে এক লাখ টাকা করতে নির্দেশনা দিয়েছে।
এসএ/এআরএস/এমএস