সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতন : রংপুরে সাংবাদিক সমাজের বিক্ষোভ


প্রকাশিত: ০৩:১১ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০১৬

সাংবাদিক উৎস রহমানের হত্যাকারী ও মোস্তফা সাব্বির পিয়ালের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশ প্রশাসনকে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে রংপুরের সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজ। রোববার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও করে স্মারকলিপিতে এই আল্টিমেটাম দেন তারা।

সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে রংপুরে কর্মরত সংবাদকর্মীরা এর আগে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এসময় সংহতি জানিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেয় সমাজ পরিবর্তন ও উন্নয়ন ফোরাম। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর প্রধান সড়ক শেষে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও করে।

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিক উৎস রহমান হত্যার সঙ্গে জড়িত ৬ জনকে আটক ছাড়া হত্যা রহস্যের কারণ উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি উৎসর ব্যবহৃত ক্যামেরা, মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোনও উদ্ধারে পুরোপুরি ব্যর্থ পুলিশ।

সাংবাদিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উৎস রহমান হত্যাকাণ্ডের ৭ দিনের মাথায় দৈনিক রংপুর চিত্র অফিসে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। তুলে নিয়ে যায় পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মোস্তফা সাব্বির পিয়ালকে।

এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ রংপুরের পুলিশ প্রশাসন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উৎস রহমানের খুনি ও পিয়ালের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হলে তারা বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন। পরে তারা বিভিন্ন দাবি সম্মলিত একটি স্মারকলিপি পেশ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে।
 
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। খুব শিগরিই সাংবাদিক উৎস রহমানের হত্যা রহস্য উদঘাটিত হবে।
 
সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজের আহ্বায়ক ও রংপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আলী আশরাফের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সদরুল আলম দুলু, রংপুর সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি শরিফুজ্জামান বুলু, মাছরাঙ্গা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার রফিক সরকার, সময় টিভি ও জনকন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার মানিক সরকার মানিক, সাবেক প্রেসক্লাব সভাপতি রশীদ বাবু, সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ২৩ ডিসেম্বর গভীর রাতে সাংবাদিক উৎস রহমানকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন তার হাত-পা বাঁধা মরদেহ নগরীর ধান গবেষণা কেন্দ্র থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এরপর গত ৩১ ডিসেম্বর স্থানীয় দৈনিক রংপুর চিত্রের স্টাফ রিপোর্টার মোস্তফা সাব্বির পিয়ালকে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে তাকে অফিস থেকে তুলে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে তার সহকর্মীরা দেড়ঘণ্টা পর পিয়ালকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০ জনের নামে ১ জানুয়ারি কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন পিয়াল।

পুলিশ ঘটনার দিন মুলহোতা তন্ময়কে গ্রেফতার করলেও আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তন্ময়।

জিতু কবীর/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।