শুরুর অপেক্ষায় এশিয়ার সবচেয়ে মর্যাদার টুর্নামেন্ট
পাঁচ অধিনায়ক যখন কাপড়ে ঢাকা ট্রফির সামনে দাঁড়ালেন তখন কারো মুখের অভিব্যক্তিই বোঝা গেল না। হাসছেন না মুখ ভার করে আছেন। তা থেকে গেলো মাস্কের আড়ালেই। তবে সবাই নাতিদীর্ঘ প্রতিক্রিয়ায় প্রতিপক্ষ দলগুলোকে শক্তিশালী উল্লেখ করে নিজেদের ভালো খেলার প্রত্যাশার কথা জানালেন।
ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে হবে ট্রফির লড়াই। জাপান চাইবে যতটা ওপরে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করা করা যায়। আর বাংলাদেশ? আয়োজক হিসেবে প্রথম খেলার সুযোগ পাওয়া দলটির লক্ষ্য একটাই- যদি ঘরের দর্শকদের কিছু আনন্দ দেয়া যায়।
বাংলাদেশ অধিনায়ক ট্রফির দিকে তাকিয়ে বলেই দিলেন- যারা ভালো খেলবে তারাই এই ট্রফিটি নিয়ে যাবে। আসলেই- ট্রফিতো অতিথি দলগুলোর অধিনায়কদের মধ্যে কেউ না কেউ নিয়েই যাবেন। বাংলাদেশে থাকার কোন সম্ভাবনাই নেই।
সর্বশেষ আসরের যৌথ চ্যাম্পিয়ন ভারত ও পাকিস্তান। এবার এককভাবে ট্রফি জিততে চায় দুই দলই। দক্ষিণ কোরিয়াও মুখিয়ে আছে ঢাকা থেকে ট্রফি নিয়ে হইহই-রইরই করে দেশে ফেরার। মালয়েশিয়া থাকলে তারাও হয়তো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দাবিদার থাকতো। কিন্তু একজনের করোনা হওয়ায় পুরো দলের সফর বাতিল করে দেয়া দেশটির সরকার। যে কারণে, ৬ জাতির টুর্নামেন্টে এখন ৫ দেশের।
একাধিকবার তারিখ পরিবর্তন হয়ে ১৪ ডিসেম্বর থিতু হয়েছে। রাত পোহালেই এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন ট্রফি হকি শুরু দিন। এশিয়ার সবচেয়ে মর্যাদার এই টুর্নামেন্ট এখন শুরুর অপেক্ষায়। মালয়েশিয়া থাকলে প্রথম দিনই দলটির সঙ্গে খেলতো বাংলাদেশ। তারা নাম প্রত্যাহার করায় এখন বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলবে ভারতের বিপক্ষে টুর্নামেন্ট শুরুর পরদিন।
আরআই/আইএইচএস/