চৌমুহনীর ১০ কেন্দ্রের ভোট স্থগিতের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
কোনো ধরনের সহিংস ঘটনা ছাড়াই নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভার ১০ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করার প্রতিবাদ জানিয়ে আ.লীগ মেয়র প্রার্থী আক্তার হোসেন ফয়সল ও কাউন্সিলররা সংবাদ সম্মেলন করেছে।
স্থগিত হওয়া ভোটকেন্দ্রগুলোতে কোনো ধরনের সহিংস ঘটনা, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, সংঘর্ষ বা হতাহতের কোনো ঘটনা, আটক বা গ্রেফতারের মতো কোনো ঘটনাও ঘটেনি। তবুও উদ্দেশ্যে প্রনোদিতভাবে ১০টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করায় ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনীর পাবলিক হল মিলনায়তনে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিকস ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চৌমুহনী পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আক্তার হোসেন ফয়সল।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম তাজু, ইসমাইল হোসেন বাবলু, ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেন, ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী খোকন ঘোষ, ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন দেলু, প্রার্থী নুরুল ইসলাম বাবুল, ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মনসুর আহমদ রিপন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, চৌমুহনী পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আক্তার হোসেন ফয়সল নৌকা প্রতীক নিয়ে ১০টি কেন্দ্রের ফলাফলে ৭ হাজার ৩২৭ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জহির উদ্দিন হারুন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ৫ হাজার ৭৯৩ ভোট পেয়েছেন।
এই পৌরসভার ২০ কেন্দ্রের মধ্যে অনিয়ম ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগে ১০ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। চৌমুহনী পৌরসভায় মেয়র পদে তিনজন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৬ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মিজানুর রহমান/এসএস/আরআইপি