বিশ্বকাপের রঙটাই বদলে দিল অস্ট্রেলিয়া
অ্যালান বোর্ডারের নেতৃত্বে ১৯৮৭ সালে বিশ্বকাপ জিতে শুরু অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বিশ্ব শাসন। স্টিভ ওয়াহ, পন্টিংরা পরবর্তীতে এনে দিয়েছেন আরও তিনটি বিশ্বকাপ। ১৯৯৯, ২০০৩ ও ২০০৭ সাল টানা তিনটি বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০১৫ সালে নিজেদের মাটিতে সুযোগটাও হাতছাড়া করেনি মাইকেল ক্লার্কের দল। অধিনায়ক ক্লার্কও যোগ দিলেন পন্টিংদের মতো বিশ্ব জয়ীর কাতারে।
এ বিশ্বকাপের আগে একে একে বিদায় নিচ্ছেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, ম্যাথু হেইডেন, শেন ওয়ার্ন, রিকি পন্টিংরা। অস্ট্রেলিয়া হারায় গ্রেট ক্রিকেটারদের একটি প্রজন্ম। তবে নতুন প্রজন্ম যে সাবেক গ্রেটদের দেখানো পথেই হাঁটছে তার প্রমাণ মিললো ২০১৫ বিশ্বকাপে। পঞ্চম বিশ্বকাপটা অস্ট্রেলিয়া জিতল এক সারি তরুণের কাঁধে চড়ে। ভবিষ্যতের ক্রিকেট শাসনের ইঙ্গিতটা দিয়ে গেলেন স্মিথ-স্টার্করা এই বিশ্বকাপেই। আর গিলক্রিস্ট-পন্টিংদের জায়গাটা পূরণ করলেন তারা।
২০১৫ বছরটি শুরুই হয়েছিলো বিশ্বকাপ ক্রিকেটের দামামা বাজিয়ে। দেড় মাসের ব্যাট-বলের লড়াইয়ের সেই বিশ্বমঞ্চে প্রতিবেশি রাষ্ট্র নিউজিল্যান্ডকে কাঁদিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে বিশ্বসেরার খেতাব জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপ ট্রফি জয়ের স্বাদ নিয়ে ট্রফির সোনালী রঙটা বদলে হলুদই বানিয়ে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া!
অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে কোনো ক্রিকেট ম্যাচে সবচেয়ে বেশি দর্শকের সামনে পঞ্চমবারের মতো ট্রফিটা হাতে নিলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। আর অবসরের ঘোষণা দেয়ার সময়ে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক বিশ্বকাপটি উৎসর্গ করেন বাউন্সারের আঘাতে অকালমৃত্যু ঘটা অস্ট্রেলিয়ার উদীয়মান ক্রিকেটার ফিলিপ হিউজকে।
ক্রিকেটে ১১টি বিশ্বকাপের ৫টিই তাদের, অন্য কোনো দলের যেখানে দুবারের বেশি বিশ্বকাপ জেতা হয়নি। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের আসল প্রমাণ এখানে নয়। এই ৫টি বিশ্বকাপ এসেছে ক্রিকেট খেলা হয় এমন পাঁচ মহাদেশ থেকেই। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের রং তো আসলেই হলুদ!
এমআর