জমি নিয়ে বিরোধে টুঙ্গিপাড়ায় ৩ নারী লাঞ্ছিত
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৩ নারী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। তাদেরকে পানি ও কাঁদা মাটিতে চুবিয়ে চরমভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
ওই তিন নারী হলেন, মায়া বাড়ৈ (২৮), পুতুল বাড়ৈ (২৪) ও সুনীতি বাড়ৈ (২২)। ঘটনার অভিযোগে জানা যায়, ওই গ্রামে মন্মথ বাড়ৈর সঙ্গে তার স্বত্বদখলীয় গোপালপুর মৌজার আরএস খতিয়ানের ৩০১১ দাগের ৬১ শতাংশ ও ৩০১২ দাগের ৬৭ শতাংশ, ১৫০৮ দাগের ৭৬ শতাংশসহ মোট তিন একর ২৭ শতাংশ জমি নিয়ে বিমল বাড়ৈর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
জমিতে আদালত থেকে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছিল। তা সত্ত্বেও বিমল বাড়ৈ তার লোকজন নিয়ে ওই জমিতে ধান চাষাবাদ করতে যান। এসময় মন্মথ বাড়ৈর স্ত্রী মায়া বাড়ৈ, তার ভাইয়ের স্ত্রী পুতুল বাড়ৈ ও সুনীতি বাড়ৈ তাদেরকে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে বিমলের লোকজন তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে চড়াও হন এবং মারধর করে কাদা মাটিতে চুবিয়ে মারাত্মকভাবে আহত ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় এলাকায় জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আহত মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈর স্ত্রী মায়া রানীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা হলে তিনি জাগো নিউজকে জানান, ওই জমির মালিক উত্তরাধিকার সূত্রে তার স্বামী ও দেবররা। সিএস, আরএস ও এসসএ রেকর্ডেও তাদের পূর্ব পুরুষদের নাম আছে। বিমল বাড়ৈ অযথা ওই জমির মালিকানা দাবি করে বিরোধ সৃষ্টি করে আসছেন। তারা জমি জবরদখল পূর্বক ধান চাষ করতে গেলে আমরা তাদের বাধা দেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আমাদের আক্রমণ ও লাঞ্ছিত করেন।
এ ঘটনায় তদন্তকারী টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর্জা জাহাঙ্গীর জাগো নিউজকে জানান, এসব সম্পত্তি বিআরএস রেকর্ডে বিমল বাড়ৈর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সিএস ও আরএস রেকর্ডে মন্মথদের পূর্ব পুরুষের নাম আছে। জমিতে ১৪৪ ধারাও জারি আছে। স্থিতি অবস্থা বজায় রাখাই উচিত ছিল।
এস এম হুমায়ূন কবীর/এমজেড/পিআর