অধ্যাপক খায়রুল বাশারের মৃত্যুতে ঢাবি উপাচার্যের শোক

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৪২ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫

মালয়েশিয়ার সেলাংগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক এবং যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ খায়রুল বাশারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
 
সোমবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় উপাচার্য এ শোক জ্ঞাপন করেন।

শোকবার্তায় উপাচার্য বলেন, খায়রুল বাশারের মৃত্যুতে জাতি এক সচেতন, নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞকে হারালো। এতে গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা শিক্ষার ক্ষেত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো। দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গণে তার অবদান এবং কর্মোদ্যোগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

উপাচার্য অধ্যাপক খায়রুল বাশারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার পরিবারের শোক-সন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
 
প্রসঙ্গত, গত ২৬ ডিসেম্বর শনিবার রাতে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অধ্যাপক খায়রুল বাশার মৃতুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে, আত্মীয়-স্বজনসহ অংসখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মরদেহ আজ কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকায় আনা হয়েছে। আগামীকাল ঢাকার জুরাইন কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

অধ্যাপক বাশার যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা ইউনিভার্সিটি থেকে এম এ ডিগ্রি অর্জন করেন। বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতে তিনি সুপরিচিত ছিলেন, দি ডেইলি মনিং নিউজ, সংবাদ, ইত্তেফাকসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে সাংবাদিকতা করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাত্তোরকালে ইউনেস্কোতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন এবং প্যারিস, ব্যাংকক, কুয়ালালামপুর ও নাইরোবিতে ১০ বছরেরও অধিক সময় দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ১৯৮৫ সাল থেকে কুয়ালালামপুরের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট কমিউনেশনের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। একই সময়ে কুয়ালালামপুরে তার  উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘এইডকম’। এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী পদে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি আন্তর্জাতিক সাময়িকপত্র ‘জার্নাল ফর ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন’-এর সম্পাদক ছিলেন। ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ পর্যন্ত ম্যানিলাভিত্তিক সংগঠন ‘প্রেস ফাউন্ডেশন অব এশিয়া’র মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করে তিনি। মালয়েশিয়ার দৈনিক সানসহ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন পত্রিকায় তিনি নিয়মিত কলাম লিখতেন।

এমএইচ/এসকেডি/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।