সিলেটে ২৭ কেন্দ্রের ২৫টিই ঝুঁকিপূর্ণ!
সারাদেশের মতো সিলেটের তিন পৌরসভার ২৭ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। ইতোমধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব রকম প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তবে দুটি পৌরসভার সবগুলো কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে নিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, সোমবার মধ্যরাত থেকে সিলেটসহ দেশের পৌরসভারগুলোর নিরাপত্তায় নামানো হচ্ছে বিজিবি। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিজিবি সদস্যরা নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে মাঠে থাকবে। একই সঙ্গে আজ রাত ১২টা ১মিনিট থেকে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণাও বন্ধ হয়ে যাবে।
এদিকে সিলেটের ৩ পৌরসভায় মোট ২৭টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৫টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও জকিগঞ্জ পৌরসভার সবগুলো কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকির মাত্রা অনুযায়ী নিরাপত্তা চকও সাজানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
সিলেটের গোলাপগঞ্জ, জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট পৌরসভায় প্রত্যেকটিতে ৯টি করে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে কানাইঘাটে ২টি ভোটকেন্দ্র বাদে তিন পৌরসভার বাকি সব কয়টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সংশ্লিষ্টরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) একেএম ফজলুল হক শিবলী বলেন, গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় ৯টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। অতীতের রেকর্ড বিবেচনা করে সব কয়টি কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জকিগঞ্জ খানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুর রহমান বলেন, এ পৌরসভার ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে সব কয়টি কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
কানাইঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, কানাইঘাট পৌরসভার ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সব মিলিয়ে সিলেটের তিন পৌরসভার ২৭টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৫টিই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে ঝুঁকিপূর্ণ এসব কেন্দ্রগুলোতে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থায় থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিলেট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আজিজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, সিলেটে নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভোট-বাক্স, ব্যালট পেপার, সিল, অমুচনীয় কালিসহ নির্বাচনী সব সমঞ্জাম প্রস্তুত রয়েছে। সময় অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্রসহ প্রিসাইডিং অফিসাররা চলে যাবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোববার পর্যন্ত সিলেটের কোনো প্রার্থী তার কাছে লিখিত বা মৌখিকভাবে নির্বাচনের পরিবেশ বা আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে অভিযোগ দেননি।
প্রসঙ্গত, সিলেটের তিন পৌরসভায় মেয়র পদে ২২ জন প্রার্থী নির্বাচনী লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন। এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৮ এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর (নারী) পদে ২২ প্রার্থী তাদের নির্বাচন করছেন।
ছামির মাহমুদ/এসএস/এমএস