বাংলাদেশের ভাবনায় ধর্মশালার কন্ডিশন

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪৫ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫

আগামী ১৩ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৬। এই সংস্করণের ষষ্ঠ আসরটি এবার অনুষ্ঠিত হবে ভারতে। তবে এর আগে ৯ মার্চ থেকে বাছাই পর্ব দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন। বাছাই পর্বের সবগুলো খেলাই হবে হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে। এই স্টেডিয়ামটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৩১৭ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। হিমালয়ের একেবারে কাছাকাছি হওযার কারণে ভারতের এই অঞ্চলটিতে অধিকাংশ সময় থাকে বরফাবৃত। এ কারণে বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের  মূল ভাবনায় এখন ধর্মশালার কন্ডিশন।

২৩ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এই স্টেডিয়ামটি প্রাদেশিক রাজধানী শিমলা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ধর্মশালার এই স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস এবং ওমানের সঙ্গে বাছাই পর্বের যুদ্ধে অবতীর্ণ হবে বাংলাদেশ।  শান্ত সুনিবিড় এমন পরিবেশ যে কোন খেলোয়াড়ের জন্যই দারুন উপভোগ্য।

কিন্তু এরপরেও ধর্মশালার মাঠ বাংলাদেশের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।  মার্চের ওই সময়ে ধর্মশালার তাপমাত্রা ১৪-২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে  নেমে আসবে। এমন পরিবেশে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা  খেলে অভ্যস্ত নয়। অথচ বাংলাদেশের তুলনায় ধর্মশালায় আয়ারল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডস থাকবে অনেক এগিয়ে।  কারণ, তারা এমন পরিবেশেই খেলতে অভ্যস্ত।

এই সব দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশ দলের কোচ হাতুরুসিংহে চেয়েছিলেন কমপক্ষে ১০ দিন ওই পরিবেশে গিয়ে ক্যাম্প করে নিজেদের মানিয়ে নিতে; কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে তার অনুরোধ ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। কারণ, বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ এশিয়া কাপ নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। এশিয়া কাপের আগে জানুয়ারিতে ধর্মশালায় ৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকে। এমন হিম-শীতল পরিবেশে  অনুশীলন মাশরাফিদের জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে।

তবে বাংলাদেশের জন্য আরও দুঃসংবাদ বাড়িয়ে দিয়েছে এশিয়া কাপের সূচি। কারণ, এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলতে পারে বাংলাদেশ, তাহলে ধর্মশালায় গিয়ে কমপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ হারাবে টাইগাররা।  তাই সব মিলিয়ে দারুন দুর্ভাবনায় রয়েছে বাংলাদেশ দল।

আরটি/আইএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।