ক্যাডেট কলেজগুলো গুণগত শিক্ষার আদর্শকেন্দ্র : রাষ্ট্রপতি


প্রকাশিত: ০৩:০০ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫

দেশের ক্যাডেট কলেজগুলো গুণগত শিক্ষা প্রদানের আদর্শকেন্দ্র উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, প্রচলিত কারিকুলামের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সুপ্তপ্রতিভা বিকাশের বিভিন্ন কার্যক্রম এখানে গ্রহণ করা হয়। শনিবার বিকেল পৌনে ৪ টায় সিলেট ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের সংগঠক ওকাস আয়োজিত সপ্তম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ক্যাডেট কলেজগুলোর শরীরচর্চা, খেলাধুলা, বিতর্ক, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের সর্বশেষ আলোচনা শিক্ষার্থীদের চৌকস করে গড়ে তোলে। তথ্য-প্রযুক্তির সুবিধা থাকায় শিক্ষার্থীরা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে গড়ে ওঠে। তারা পাবলিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে এবং কর্মজীবনে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখে।

ক্যাডেটদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, আপনারা আপনাদের জ্ঞান মেধা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে দেশকে স্বর্ণ শিখরে নিয়ে যাবেন জাতি তা প্রত্যাশা করে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করা। সে লক্ষ্যে সরকার ‘ভিশন ২০২১’ ও ‘ভিশন ২০৪১’ গ্রহণ করেছে। এ ভিশনের আলোকে আপনারা অবদান রাখবেন এ প্রত্যাশা রাখি।

ক্যাডেটদের অপার সম্ভাবনার প্রতীক মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল অর্থনৈতিকভাবে স্ব-নির্ভর ও নিরক্ষর মুক্ত বাংলাদেশ গড়া। তারই আর্দশ ও স্বপ্নকে সু-প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে সরকারের বহুমুখি কর্মসূচি রয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষের উন্নয়নের জন্য সেবা ও আত্মত্যাগের সুমহান দায়িত্ব নিয়ে ক্যাডেটদের এগিয়ে যেতে হবে দেশ ও জাতির সেবায়।

বর্তমান ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, নিজের জীবনকে নিজের মধ্যে সীমিত না রেখে সমাজের জন্য রাষ্ট্রের জন্য তথা মানুষের কল্যাণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, আমি জেনে খুশি হয়েছি এক্স ক্যাডেট অ্যাসোসিয়েশনগুলো নানাবিধ সমাজ সেবামূলক কাজ পরিচালনা করে যাচ্ছেন, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

তিনি বলেন, ত্রিশ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে এই স্বাধীন বাংলাদেশকে আপন মহিমায় বিশ্ব দরবারে সমুন্নত করতে আমাদের একযোগে কাজ করে যেতে হবে। জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন আপনারাই পূরণ করবেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তৃতা করেন, সিলেট ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ কমান্ডার সাইফুর রহমান, সভাপতির বক্তৃতা করেন ওকাস সিলেটের সভাপতি শাহানুর আলম। রাষ্ট্রপতিকে সম্মননা ক্রেস্ট তুলে দেন পুনর্মিলনী আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক মেজর জেনারেল মো. সাজ্জাদুল হক প্রমুখ।

এর আগে অনুষ্ঠান মঞ্চে আসার পর ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেটরা রাষ্ট্রপতিকে প্যারেড ও কুচকাওয়াজের মাধ্যমে সালাম ও অভিভাদন জানায়। পরে রাষ্ট্রপতি সবাইকে নিয়ে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের কেক কাটেন।

হেলিকপ্টারযোগে রাষ্ট্রপতি শনিবার বেলা পৌনে ১টায় সিলেট পৌঁছান তিনি। এসময় ওসমানী আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, জাতিসংঘ স্থায়ী মিশনের সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল মোমেন প্রমুখ।

রাজনীবিদ হিসেবে বহুবার গেলেও রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর সিলেট যাওয়া হয় নি আবদুল হামিদের। সিলেট গিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরাসরি চলে যান হযরত শাহজালাল (র.) ও শাহপরান (র.) এর মাজার জিয়ারতে। মাজার জিয়ারত শেষে তিনি বেলা ২টা ৫৫ মিনিটে প্রাক্তন ক্যাডেটদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

সিলেট ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষে তিনি ঢাকায় ফেরেন।

ছামির মাহমুদ/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।