ডিপিসির মাধ্যমে গণপদোন্নতি বন্ধ হচ্ছে
চিকিৎসকদের গণপদোন্নতি বন্ধ হচ্ছে। বিগত কয়েক বছর যাবত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্টাল প্রমোশন কমিটি (ডিপিসি) এর মাধ্যমে এমবিবিএস, জুনিয়র ও সিনিয়র কনসালটেন্ট, সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপকদের পদোন্নতি দেয়া হলেও ওই পদ্ধতিতে কিছুটা ক্রুটি আছে বলে মনে করে বিকল্প চিন্তা করছেন চিকিৎসা শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় বিষয়ভিত্তিক প্রকৃত পদোন্নতিযোগ্য চিকিৎসকদের পদোন্নতি প্রদান করতে অধিকতর যাচাই বাছাই করা উচিত বলে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন।
তারা বলেছেন, ডিপিসি’র মাধ্যমে পদোন্নতি দেয়া হলেও এক্ষেত্রে পেশায় সিনিয়র ও কাজে অধিক দক্ষতাসম্পন্ন চিকিৎসকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শর্ত পূরণ করলেই সিনিয়র জুনিয়রকে একই পদোন্নতি দেয়ার বিষয়টি সিনিয়র চিকিৎসকদের নিরুৎসাহিত করছে বলে তারা জানিয়েছেন।
আগে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) এর মাধ্যমে চিকিৎসকদের পদোন্নতি হতো। দীর্ঘমেয়াদি ওই প্রক্রিয়ায় চিকিৎসকদের পদোন্নতি প্রক্রিয়া শেষ করতে দেড় দুই বছর সময় লেগে যেতো। ফলে পদোন্নতি ছিল সোনার হরিণ।
বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বর্তমান সরকারের আমলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির সমন্বয়ে ডিপিসি’র মাধ্যমে পদোন্নতির সুযোগ করে দেয়। গত কয়েক বছরে ডিপিসির মাধ্যমে হাজার হাজার চিকিৎসকের পদোন্নতি হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা শিক্ষা বিশেষজ্ঞ জাগো নিউজকে জানান, ডিপিসির মাধ্যমেই পদোন্নতির নিয়ম রেখে কিভাবে প্রকৃত যোগ্য চিকিৎসকদের পদোন্নতির মাধ্যমে অধিকতর উৎসাহিত করা যায় সেক্ষেত্রে করণীয় নির্ধারণে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) এর নব নির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। চূড়ান্তভাবে পদোন্নতির আদেশ জারির আগে ডিপিসি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করে পদোন্নতি করতে পারেন।
স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলন জাতীয় কমিটি ও বিএমএ’র সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশীদ ই মাহবুব এর কাছে পদোন্নতি প্রদানের ক্ষেত্রে বিকল্প চিন্তা ভাবনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে বৈঠকে কথাবার্তা হলেও এখনও তা প্রাথমিক আলাপ আলোচনায় সীমাবদ্ধ রয়েছে। এর বেশী কিছু বলতে তিনি রাজি হননি।
এমইউ/এআরএস/এমএস