বিপিএল থেকে বিসিবির আয় ২৫ কোটি টাকা
প্রথম দুই আসরের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে এবারের বিপিএল নিয়ে বেশ সতর্ক ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। একটা নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে নিয়ে এসে একে সুশৃঙ্খল এবং সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য অনেক কিছুই ছাড় দিতে হয়েছে বিসিবিকে। যে কারণে এবারের আসর থেকে আয় কমে গেছে বলে মনে করেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। তবুও, এবারের বিপিএল থেকে ২৫ কোটি টাকা বিসিবির আয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিসিবির সাফল্য-ব্যর্থতা আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এবং বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। ওই সংবাদ সম্মেলনেই সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, এবারের বিপিএল আয়োজন করা হয়েছে কোন সমস্যা ছাড়াই। অনেক সুশৃঙ্খল আর সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা গেছে এবারের বিপিএল। আগের বিপিএলগুলোতে নানা অনিয়ম আর টাকা না পাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলেও এবার তেমন কিছু হয়নি।
বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই খেলোয়াড়দের টাকা পরিশোধ করেছে অনেক ফ্রাঞ্চাইজি। কারণ, বিপিএল থেকে এবারও ভালো আয় করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় বিপিএলের তৃতীয় আসর থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ২৫ কোটি টাকা আয় করেছে। অবশ্য আয়ের টার্গেট ছিল ৪০ কোটি টাকা।
টাইটেল স্পন্সর, মিডিয়া স্বত্ব, টিকিট বিক্রি, মোবাইল স্কোরিং স্বত্ব বিক্রি এবং ফ্রাঞ্চাইজি ফি এর সৌজন্যে বিপিএলের তৃতীয় আসর থেকে বড় ধরনের আয়ের আশা করলেও বিপিএলকে সুশৃঙ্খল কাঠামোয় নিতে গিয়ে বাণিজ্যের বিষয়কে অতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে জানান বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান।
রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সভাকক্ষে পাপন বলেন, ‘আমরা বিপিএলকে সুশৃঙ্খল করতে চেয়েছি। আয় এখানে বড় কোনো বিষয় ছিল না। পেছনের দুটি আসরকে ঘিরে যে সমস্যাগুলো হয়েছিল সেগুলোকে আমরা দূর করতে চেয়েছি। সবার চেষ্টায় এবার সে সমস্যাগুলো হয়নি। আয় কম হলেও সব ঠিকঠাক মতো শেষ হওয়ায় কোনো আক্ষেপ নেই আমাদের।’
উল্লেখ্য, বিপিএলের প্রথম আসরে আয় হয়েছিল সাড়ে ৩২ কোটি টাকা। আর দ্বিতীয় আসরে আয় হয়েছিল ২৮ কোটি। সে হিসেবে এবার কম হলেও ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্ট সবাই।
আইএইচএস/আরআইপি