বাগমারায় মা-ছেলে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ৫
রাজশাহীর বাগমারায় বহুল আলোচিত মা-ছেলে খুনের ঘটনায় পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। রোববার বিকেলে পিবিআই রাজশাহীর সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ুন এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ক্ষিদ্র লক্ষীপুর গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে মনিরুল ইসলাম (২১), দেবীপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (২৮), শ্যামপুরের আতাউরের ছেলে আব্দুল্লা আল কাফি (২০), লবির উদ্দিনের ছেলে রুহুল আমিন (২৯) ও কাশিপুর গ্রামের ছাদের আলীর ছেলে রুস্তম আলী (২৫)।
আসামিরা জোড়া খুনের কিলিং মিশনে সরাসরি অংশ নিয়েছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। শনিবার রাতে তাদের নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারা ভাড়াটিয়ে খুনি হিসেবে কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছিল। এ খুনের মূল পরিকল্পনাকারীকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। একই সঙ্গে তাদের কাছ থেকে তিনটি মোটরসাইকেল, ভিকটিমের মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে। আর সেই ফোনের সূত্র ধরেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর রাতে বাগমারা উপজেলার দেউলা গ্রামের আকলিমা খাতুন (৪৫) ও তার ছোট ছেলে জাহিদ হাসান (২৫) নিজ ঘরে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মামলার বাদী ও নিহত আকলিমা খাতুনের বড় ছেলে দুলাল উদ্দিন বলেন, ঘটনার পরেই তিনি স্থানীয় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করে বাগমারা থানায় মামলা করেন। আসামিরা হলেন, সান্টু, আবেদ, চঞ্চল ও শুভ।
মামলা দায়েরের একদিন পর সন্দেহভাজন আসামি সান্টুর ছোট ভাই মানসিক প্রতিবন্ধী আবেদকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু গত এক বছরে চারজন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন ছাড়া মামলায় কোনো অগ্রগতি নেই। ২০১৫ সর্বশেষ ১০ নভেম্বর মামলাটির তদন্ত করার জন্য পিবিআই রাজশাহী জেলাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এরপরেই ওই জোড়া খুনের ঘটনায় পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করেন পিবিআইয়ের সদস্যরা।
শাহরিয়ার অনতু/এআরএ/পিআর