পোস্টার নিয়ে বিড়ম্বনায় প্রার্থীরা


প্রকাশিত: ০৭:২৬ এএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভা নির্বাচনে পোস্টার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী দেয়ালে বা ঘরের বেড়ায় স্থায়ীভাবে পোস্টার লাগানো নিষিদ্ধ হওয়ায় প্রার্থীরা তা পাটের তৈরি দড়িতে গেঁথে বিভিন্ন স্থানে ঝুলিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু এভাবে ঝোলানো পোস্টার দু-তিন দিনের বেশি টিকছে না। কুয়াশা ও শিশিরে ভিজে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেগুলো। ফলে বাধ্য হয়ে একই স্থানে নতুন করে আবার পোস্টার ঝোলাতে হচ্ছে প্রার্থীদের। এতে প্রার্থীদের খরচ ও ভোগান্তি বেড়েছে।

কোনো কোনো প্রার্থী স্বচ্ছ পলিথিনে মুড়ানো পোস্টার ঝুলিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু এতেও দীর্ঘদিন টেকানো যাচ্ছে না সেগুলোকে। কুয়াশা ও শিশিরের কারণে পলিথিনের ভেতরে থাকা পোস্টারগুলোও নষ্ট হচ্ছে।

রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, অনেক স্থানেই পোস্টারবিহীন দড়ি ঝুলে রয়েছে। মির্জাপুর পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পোষ্টকামুরী গ্রামে পোস্টার ঝোলাচ্ছিলেন কাউন্সিলর প্রার্থী এসএম রাশেদের কয়েকজন কর্মী।

তারা জানান, দুদিন আগে ওই স্থানসহ অন্যান্য এলাকায় পোস্টার ঝোলানো হয়েছিল। কিন্তু কুয়াশায় পলিথিনবিহীন পোস্টারগুলো খুলে পড়ে গেছে। তবে পলিথিনে মোড়ানো পোস্টারগুলো বেশি দিন ধরে টিকে আছে। পোস্টার নষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত নতুন পোস্টার ঝোলাতে হচ্ছে। তানা হলে অন্য প্রার্থীর সমর্থকেরা জায়গা দখল করে পোস্টার ঝুলিয়ে দিতে পারে।

এদিকে পোস্টার মোড়ানোর কাজে ব্যবহৃত পলিথিনের দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে। প্রতি পাউন্ড ১৯৫ টাকা দরে পলিথিনের দাম কয়েক দিনের ব্যবধানে ২শ টাকা ছাড়িয়েছে। প্রার্থীদের অভিযোগ, নির্বাচনের কারণে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সুযোগ বুঝে ব্যবসায়ীরা পলিথিনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

মেয়র প্রার্থীর স্বজনেরা জানান, ঝোলানো পোস্টার দু-তিন দিনের বেশি টেকানো যাচ্ছে না। এতে পোস্টারের পেছনে কর্মীদের লাগিয়ে রাখতে হচ্ছে। বিষয়টি যেমন বিড়ম্বনার সৃষ্টি করেছে তেমনি খরচও বাড়িয়ে দিয়েছে।

এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।