নেপালকে ১-০ গোলে হারাল বাংলাদেশ


প্রকাশিত: ০১:২২ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫

প্রস্তুতিটা আসলে কেমন হলো, সেটা ম্যাচের গতি দেখে বোঝা গেলো না। বাংলাদেশের ফুটবলাররা প্রস্তুতি ম্যাচ বলে শরীর বাঁচিয়ে খেলেছেন, না কি সাফের আগে কোচ মারুফুল হকের এটা একটা কৌশল, সেটাও ঠিক বোঝা গেলো না। তবে, কিছুটা ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচ হলেও সাফের প্রস্তুতি ম্যাচে ১-০ গোলে নেপাল ফুটবল দলকে হারিয়ে নিজেদের আত্মবিশ্বাসটা বাড়িয়ে নিলো বাংলাদেশ।
 
সাফ ফুটবলের প্রস্তুতি পরখ করতে বিকাল ৫টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নেপাল ফুটবল দলের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। প্রস্তুতিটা যে মোটামুটি ভালোই হয়েছে, সেটা স্কোরলাইন দেখলেই বোঝা যায়। খেলার প্রথমার্ধেই ১-০ গোলে এগিযে গেলো বাংলাদেশের ফুটবলাররা। দ্বিতীয়ার্ধে গোল করতে না পারলেও, নেপালের বেশ কয়েকটি আক্রমণ ঠেকিয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ী দল বাংলাদেশই।

ম্যাচের ১৮তম মিনিটে দুর্দান্ত এক হেডে গোলটি করেন শাখাওয়াত হোসেন রনি। বাম উইং থেকে দারুন একটি ক্রস করেন ইয়ামিন আহমেদ চৌধুরী মুন্না। তার ক্রস থেকে ভেসে আসা বলে ডি বক্সের বাম প্রান্ত থেকে কোনাকুনি হেডে নেপালের জালে বলটি জড়িযে দেন রনি।

তবে, খেলার শুরুটা যেভাবে হয়েছে, তাতে ধারার বিপরীতেই গোল খেয়ে বসেছে নেপাল। শুরু থেকেই কিন্তু নেপাল ফুটবল দল ভালো ফুটবল খেলছিল। বাংলাদেশ দল মধ্যমাঠের ওপরেই যেন বল তুলতে পারছিল না। আক্রমণ করা তো দুরে থাক। বাংলাদেশের অ্যাটাকিং হাফেই আটকে ছিল খেলা। তবে, হঠাৎই আক্রমণে ওঠে বাংলাদেশ। এবং বলা যায় নিজেদেও প্রথম আক্রমণেই গোল আদায় করে নেয় তারা।

ম্যাচের প্রথমার্ধে উল্লেখযোগ্য আক্রমণ বলতে ছিল শুধু শেষ দিকে এসে দুটি শট। ৩৯ মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে একটি ক্রস ডি বক্সের ভেতরে বাম কোনে রিসিভি করেন হেমন্ত ভিনসেন্ট। তবে তিনি একজন ডিফেন্ডারের কারণে বল নিয়ন্ত্রণে নিতে পারবেন না ভেবে শন নিয়ে নেন। বল চলে যায় বারের ওপর দিয়ে।

প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মিনিটে  ডি বক্সের ডান কোন থেকে দুর্দান্ত এক শট নেন শাখাওয়াত হোসেন রনি। তবে এই শটটিও চলে যায় বারের পাশ ঘেঁষে। নেপাল বলার মত আক্রমণ করেছিল একটা। ২৭ মিনিটে বাংলাদেশের ডি বক্সের ভেতর থেকে দারুন একটি হেড নেয় নেপালের এক ফুটবলার। তবে সেটি পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। বিপদ থেকে বেঁচে যায় বাংলাদেশও।

গোল হজম করে ফেলার পর দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে নেপাল। তাদের পরিবর্তিত ফুটবলার রোহিত চাঁদ বেশ দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দেন। বেশ কয়েকবার তিনি হানা দিয়েছিলেন বাংলাদেশের গোলমুখে। তবে কিছুটা ভাগ্য এবং গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার ক্ষিপ্রতায় বেঁচে যায় বাংলাদেশ।

ম্যাচের ৫৫ মিনিটেই দ্বিতীয় গোল দিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। জটলার ভেতর থেকে নেপালের জালে বল জড়ালেও রেফারি সেটাকে ফাউল বলে বাতিল করে দেন। খেলার ৬২ মিনিটে নেপালের রোহিত চাঁদের বাম পায়ের দারুন একটি শট চলে যায় বাংলাদেশের গোলপোস্টের ওপর দিয়ে। ৭১ মিনিটে ভাগ্যের জোওে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। ডি বক্সের ডান কোন থেকে রোহিত চাঁদের বাম পায়ের শট বারে লেগে ফিরে আসে।

খেলা শেষ হওযার ক্ষানিক আগে, ৮৯ মিনিটে আবারও রোহিত চাঁদ। কর্নার কিক থেকে ভেসে আসা বলে হারুন হেড নেন তিনি। তবে বাংলাদেশের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা পাঞ্চ করে বাঁচিয়ে দেন দলকে।

আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।