ওষুধ সরবরাহ বন্ধ ১৭১টি কমিউনিটি ক্লিনিকে!
ঝিনাইদহের ছয় উপজেলার ১৭১টি কমিউনিটি ক্লিনিকে গত দু’মাস ধরে সব ধরনের ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে করে গ্রামের মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরবরাহ বন্ধ থাকায় ওষুধ না পেয়ে অনেক স্থানে রোগীদের হাতে কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা লাঞ্ছিত হচ্ছেন।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন দফতর থেকে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ৩৮টি, শৈলকুপায় ৩৯টি, হরিণাকুণ্ডু ২৩, কোটচাঁদপুরে ১১, মহেশপুরে ৩৩টি ও কালীগঞ্জ উপজেলায় ২৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে।
দফতরটি আরও জানায়, স্যালাইনসহ মোট ২৯ আইটেমের ওষুধ কমিউনিটি ক্লিনিকে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু দুই মাস ধরে সরকারিভাবে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ থাকায় রোগীরা ফিরে যাচ্ছেন। কমিউনিটি হেলথ কেয়ার কর্মীরা অলস সময় কাটাচ্ছেন।
হরিণাকুণ্ডু উপজেলার শাখারীদহ কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি আসমা আক্তার জাগো নিউজকে জানান, ওষুধ না থাকায় চিকিৎসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এখন রোগীদের কেবল পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, রোগীরা ওষুধ না পেয়ে নানা ধরনের কটুক্তি করেন।
ওই ক্লিনিকের আয়া পরিছন নেছা জাগো নিউজকে জানান, এখানে তাদের কোনো বেতন নেই। তারা বিনা বেতনে কাজ করেন, তারপরও তাদেরকে বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষের তিরষ্কার ও খারাপ ব্যবহার শুনতে হচ্ছে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ প্রোভাইডার জাগো নিউজকে জানান, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কমিনিউনিটি ক্লিনিক গ্রামাঞ্চলের মানুষের জন্য ভালো ভূমিকা রাখে। কিন্তু ওষুধ সরবরাহ বন্ধ থাকায় মানুষ প্রাথমিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এদিকে ওষুধ না থাকার কারণে অনেক ক্লিনিকে হেলথ প্রোভাইডাররা অফিসে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন এমন অভিযোগও উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালাম জাগো নিউজকে জানান, কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক নামে সরকারের একটি প্রকল্প থেকে ওষুধ সরবরাহ করা হয়। কোনো কারণে হয়তো ঝিনাইদহের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিএমআরসি ভবন থেকে বছরের সব ওষুধ চার দফায় পাঠানো হয়। খুব তাড়াতাড়ি হয়তো এ সমস্যা মিটে যেতে পারে বলে সিভিল সার্জন আশা ব্যক্ত করেন।
এমজেড/এমএস