বিজয় দিবস ক্রিকেটে শহীদ জুয়েল একাদশের জয়
মহান মুক্তিযুদ্ধে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেয়া দুই বীর ক্রিকেটারকে স্মরণ করে ১৯৭২ সাল থেকে বিজয় দিবসে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয় একটি প্রীতি ম্যাচ। এবারও সে ধারাবাহিকতায় মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজন করা এ ম্যাচটি। এ প্রদর্শনী ক্রিকেট ম্যাচটি মূলতঃ জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্যদের বাইরে রেখেই আয়োজন করা হয়। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া ক্রিকেটার আর উঠতি ক্রিকেটারদের সমন্বয়ে শহীদ জুয়েল আর শহীদ মুস্তাক একাদশ সাজায় বিসিবি, সাবেক ক্রিকেটারদের দিয়ে। এবারের বিজয় দিবস প্রদর্শনী ক্রিকেটে জয় পেয়েছে শহীদ জুয়েল একাদশ। সাত উইকেটে তারা হারিয়েছে শহীদ মোস্তাক একাদশকে।
শহীদ মোস্তাক একাদশের দেয়া ১৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি শহীদ জুয়েল একাদশ। দলীয় ৭ রানেই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আতাহার আলী খানকে হারায় তারা। তবে আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হাবিবুল বাশারকে নিয়ে ৪৩ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামলে নেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। দলীয় ৫০ রানে বাশার ফিরে গেলে আকরাম খানকে নিয়ে আরও একটি ৪৩ রানের দারুণ জুটি উপহার দেন নান্নু।
দলীয় ৯৩ রানে আকরাম আউট হলে উইকেটে নামা জাভেদ ওমর বেলিমকে নিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে মাঠ ছাড়েন জাতীয় দলের নির্বাচক নান্নু। একপ্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দারুণ একটি অর্ধশতক তুলেন নেন চট্টগ্রামের এই তারকা। ৪৭ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। এই রান করতে ৯টি চার এবং ২টি ছক্কা হাঁকান জাতীয় দলের সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান। ১১ বলে ২টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে ২২ রান করেন বেলিম। এছাড়া বাশার ১৯ এবং আকরাম ১৬ রান করেন। শহীদ মোস্তাকের পক্ষে নিয়ামুর রশিদ, সাইফুল ইসলাম এবং খালেদ মাহমুদ ১টি করে উইকেট নেন।
এদিন সন্ধ্যায় টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ এবং ফারুক আহমেদকে হারিয়ে চাপে পড়ে শহীদ মোস্তাক একাদশ। ৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে এহসানুল হক জিসানকে নিয়ে ৩৩ রানের জুটি গড়ে সে চাপ কিছুটা সামলে নেন নাইমুর রহমান। ৪১ রানে নাইমুর বিদায় নিলে একপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন এহসান। অপর প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লে ৮৮ রানেই সেরা সাত ব্যাটসম্যানকে হারায় তারা। তবে অষ্টম উইকেট জুটিতে রফিকুল ইসলাম এবং এনামুল হক অপরাজিত ৪৩ রানের জুটি গড়ে দলকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেন।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান করতে সক্ষম হয় শহীদ মোস্তাক একাদশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন এহসান। ৩৪ বল মোকাবেলা করে ৩ টি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে এনামুল এবং নাইমুরের ব্যাট থেকে। ২১ রান করে করেন এই দুই ব্যাটসম্যান। এছাড়া সানোয়ার এবং রফিকুল ১৪ রান করে করেন।
শহীদ জুয়েল একাদশের হয়ে ১৬ রান দিয়ে চারটি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার সাইফুল্লাহ খান। এছাড়া আলমগীর কবির, সফিউদ্দিন বাবু এবং বিকাশ রঞ্জন দাস একটি করে উইকেট পান।
আরটি/আইএইচএস/পিআর