প্রথম রাউন্ডেই বিদায়, ‘টয়লেট ব্রেক’কে দুষছেন মারে
ইউএস ওপেন টেনিসের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছেন সাবেক নাম্বার ওয়ান তারকা অ্যান্ডি মারে। গ্রিক তারকা স্টেফানোস সিটসিপাসের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ৩-২ সেটে হেরে গেছেন তিনি। তবে এমন হার ঠিক মেনে নিতে পারছেন না এ ব্রিটিশ তারকা।
আর্থুর এশ স্টেডিয়ামে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা ম্যাচটিতে সিটসিপাস জিতেছেন ২-৬, ৭-৬ (৯-৭), ৩-৬, ৬-৩ ও ৬-৪ গেমে। প্রথম তিন সেট শেষে মারে এগিয়ে থাকলেও, শেষ দুই সেট জিতে তার বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছেন বিশ্বের তৃতীয় বাছাই সিটসিপাস। মারের অভিযোগও ম্যাচের তৃতীয় সেটের পর থেকেই।
তৃতীয় সেট জিতে যখন ম্যাচে লিড নেন মারে, তখন পায়ের ব্যথায় মেডিকেল সাহায্য নেন সিটসিপাস। পরে চতুর্থ সেটটি তিনি জিতে নেন ৬-৩ গেমে। এই সেটের মাঝপথে বাথরুমের জন্য বিরতিতে যান গ্রিক তারকা। এই বিরতির আগে সেটটিতে এগিয়ে ছিলেন মারে। বিরতির পর মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটায়ই ক্ষেপেছেন এই সাবেক নাম্বার ওয়ান।
ম্যাচ শেষে সিটসিপাসের এমন কাণ্ডের সমালোচনা করে মারে বলেছেন, ‘এমন একটা ম্যাচের মাঝে যদি সাত-আট মিনিট করে বিরতি আসে, সেটি ছন্দে থাকা যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্য খুব হতাশার। এমন বিরতিগুলো প্রয়োজনীয় ছন্দে পতন ঘটায়। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রতিপক্ষের এমন দুটি দীর্ঘ বিরতিকে কোনোভাবেই কাকতালীয় ব্যাপার বলতে চাই না আমি।’
এসময় ম্যাচে সিটসিপাসের টয়লেট ব্রেকের প্রভাবের কথা বুঝিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলছি না যে, নিশ্চিতভাবেই ম্যাচটি জিতে যেতাম। তবে অবশ্যই আমি এটা মনে করি, এ ধরনের বিরতি ম্যাচের গতিপথ বদলে দিয়েছে।’
মারের এমন অভিযোগের বিপরীতে সিটসিপাস আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছেন, ‘আমি মনে করি না যে বিরতি নিয়ে কোনো আইনের অপব্যবহার করেছি আমি। আমি সব সময়ই খেলার আইন মেনে চলি। এটিপি যে বিধান করেছে, সেটির প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা ও আস্থা রয়েছে আমার।’
এসএএস/জেআইএম