শিশু পার্ক রমনা উদ্যানে স্থানান্তর করা হবে
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিশু পার্কটি পাশের রমনা উদ্যানে স্থানান্তর করা হবে। বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত মহান স্বাধীনতা স্তম্ভকে আন্তর্জাতিক মানের স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে তৈরি করার লক্ষ্যে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চার দিনব্যাপি আলোক চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আগামী ২৬ মার্চের আগেই এই শিশু পার্কটি স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
মোজাম্মেল হক বলেন, দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের ‘ওয়ার হিরো’ খেতাব দিয়ে বিশেষ নাগরিকের মর্যাদা দিতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর দেশের সব এলাকায় একই ডিজাইনের কবরে তাদের দাফন করার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেয়া হবে। প্রতিটি এলাকায় যেখানে সম্মুখ যুদ্ধ ও গণকবর রয়েছে সেখানে স্মৃতি সৌধের পাশাপাশি স্বাধীনতা বিরোধীদের ঘৃণা জানাতে ঘৃণা স্তম্ভ তৈরি করা হবে।
তিনি পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসের পাশাপাশি স্বাধীনতা বিরোধীদের ভূমিকাও তুলে ধরার আহবান জানান। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পুলিশের উদ্যোগে রক্তাক্ত বিজয় নামের এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলন ও মহান মুক্তিযদ্ধের সময়কালের ১৫৬টি আলোক চিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ হোসেন খোকনের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পুলিশের আইজিপি একেএম শহীদুল হক, ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম এবং রক্তাক্ত বিজয়-এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক।
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের বাংলাদেশের স্বাধিকার আনোদলন ও মহান মুক্তিযদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য শিক্ষক সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গ্লাস টাওয়ার বেদিতে প্রথম বারের মতো স্বাধীনতা যুদ্ধের আগের ১১টি ঘটনা এবং ৭১টি ফ্রেমে একাত্তর নিয়ে যে আলোকচিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তা নতুন প্রজন্মকে প্রেরণা যোগাবে।
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ আলোকচিত্র ও ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
জেডএইচ/বিএ