সেই কাপালিই হিরো


প্রকাশিত: ০৪:৪৬ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫

শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ২৩ রান। উইকেটে অলক কাপালি এবং ড্যারেন স্টিভেন্স, বোলিংয়ে এবারের আসরে শুরু থেকে দারুণ ছন্দে থাকা কেভন কুপার। প্রথম বলেই প্রসন্নর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান স্টিভেন্স। পরের বলে অধিনায়ক মাশরাফি বরিশালের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর তালুবন্দি।

সমীকরণ তখন ১০ বলে ২৩। পরের বলে কোনো রান নিতে পারলেন না কাপালি। কিন্তু এর পরই যেন ভিন্ন রূপে আবির্ভূত হলেন কাপালি। পরের বলে দুই রান নেন, আর শেষ দুই বলে দুটি চার।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৩ রান। ব্যাটিংয়ে শুভাগত হোম। প্রথম বলে দুই রান নিতে গিয়ে রানআউটে কাটা পড়েন তিনি। নতুন ব্যাটসম্যান নুয়ান কুলাসেকেরা। ব্যাটে বলই লাগাতে পারলেন না তিনি। কিন্তু ওপর প্রান্ত থেকে দৌড়ে এসে বাই থেকে রান নিয়ে প্রান্ত বদল করে দলের গুরুদায়িত্ব কাঁধে নিলেন কাপালি।

এরপর পর পর দুই বলে দুটি চার। শেষ দুই বলে তিন রান। তখনও টানটান উত্তেজনা। পঞ্চম বলে দুই রান। শেষ বলে এক রান তুলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছেই মাঠ ছাড়েন কাপালি। ততক্ষণে ডাগআউট থেকে দৌড়ে আসা সতীর্থদের কোলে অবস্থান জয়ের এই নায়কের।

২৮ বলের ৩৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ফাইনালের হিরো অলক কাপালি। অথচ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরে প্লেয়ার্স বাই চয়েজে উপেক্ষিত ছিলেন তিনি। কোনো দলই তাকে নেয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি। তবে মাশরাফির অনুরোধে শেষ পর্যন্ত দল পান এই ক্রিকেটার। আর তা প্রতিদান তিনি দুই হাত ভোরে দিলেন।

আরটি/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।