ফাইনাল মাতিয়ে দিলেন ইমরুল
আজ থেকে কেউ কি আর ইমরুল কায়েসকে শুধুমাত্র টেস্ট ব্যাটসম্যান বলার সাহস পাবে। বিপিএলের ফাইনাল কেউ যদি দেখে থাকেন, তাহলে অন্তত তাকে টেস্ট স্পেশালিস্ট বলার আগে দ্বিতীয়বার ভাববেন। ইমরুল কায়েস প্রমাণ করেছেন, আধুনিক ক্রিকেটে তিনি শুধুমাত্র টেস্টের ব্যাটসম্যান নন। অন্য দুই ফরম্যাটেও সমান চলমান। প্রয়োজনে মারমুখিও হতে পারেন তিনি। বিপিএলের ফাইনালের মত মহাচাপের ম্যাচে এসেও অসাধারণ হাফ সেঞ্চুরি করে ইমরুল প্রমাণ করে দিলেন অনেক কিছু।
পুরো টুর্নামেন্টেই অসাধারণ খেলেছেন ইমরুল কায়েস। কুমিল্লার ওপেনিংয়ে একপ্রান্তে বরাবরই ব্যর্থ হয়েছেন লিটন কুমার দাস। অপরপ্রান্তে ইমরুল কায়েস ছিলেন দারুন ধারাবাহিক এক ব্যাটসম্যান। প্রথম কোয়ালিফায়ারেও রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৬৭ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছিলেন ইমরুল।
ফাইনালে বরিশালের করা ১৫৬ রানের বিশাল স্কোরের নীচে চাপা পড়ার পর কুমিল্লার জয়টা যখন সুদুরপরাহত মনে হচ্ছিল, তখন মাশরাফিদের জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে দেখা দিলেন ইমরুল কায়েস। লিটন দাসকে নিয়ে ভালো কোন জুটি গড়তে না পারলেও আহমেদ শেহজাদকে নিয়ে ৫৪ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথ দেখান তিনি।
শেষ পর্যন্ত ইমরুলকে আউট করতে পেরেছে বরিশাল। তবে তার হাফ সেঞ্চুরির পর। টুর্নামেন্টে এটা তার দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। ৩৭ বলে ৫৩ রান করার পর অবশেষে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বলে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমরুল। ৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি।
এবারের বিপিএলে ১২ ম্যাচ খেলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১২ রান করেছেন ইমরুল। গড় ২৮.৩৬ করে। শুধু কুমার সাঙ্গাকারাই ৩৪৯ রান করে রয়েছেন ইমরুলের ওপর।
আইএইচএস/আরআইপি