চিত্রনায়ক শব্দটা নামের সঙ্গে যোগ করতে চাই

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৪ এএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫
ছবি : শিথিল রহমান

শুরু আর্তনাদ থিয়েটার দিয়ে। এরপর পা রেখেছিলেন ছোট পর্দায়। সেখানে শুরুটা ‘রঙের মানুষ’ সিরিয়ালেরে অভিনেতা হয়ে। এখানে তিনি প্রশংসিত হন। এরপর থিতু হন ছোট পর্দায়। একে একে ‘দয়িতা’, ‘প্রজাপতিকাল’, ‘হাতকুরা’, ‘মধুময়রা’, ‘অতঃপর, ‘শুভাগমন’সহ অসংখ্য দর্শক নন্দিত নাটকে অভিনয় করে নির্মাতাদের আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠেন। বলছি জনপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমের মিলনের কথা।

বর্তমানে তিনি ছোট পর্দার পাশাপাশি বড় পর্দাতেও তুমুল ব্যস্ত সময় পার করছেন। বেশ কিছু ছবিতে সাফল্য পাওয়ায় তাকে নিয়ে ভাবতে বাধ্য হচ্ছেন নির্মাতা ও প্রযোজকেরা। এখন পর্যন্ত মিলনের অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির সংখ্যা নয়টি। হাতে আছে আরো হাফ ডজন ছবির কাজ।

তারমধ্যে অন্যতম বুলবুল বিশ্বাসের ‘রাজনীতি’ ছবিটি। এতে শাকিব খানের বড় ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। নায়িকা হিসেবে থাকছেন অপু বিশ্বাস। এফডিসিতে এই ছবির শুটিংয়েই দেখা হলো এবং কথা হলো তার সঙ্গে। জাগো নিউজকে জানালেন অনেক কিছু। সেইসব কথামালার চুম্বক অংশ নিয়ে এই আয়োজন-
 
জাগো নিউজ : ছোট-বড় দুই পর্দার মধ্যে পার্থক্য কেমন?
মিলন : পার্থক্য বেশি দেখি না। বড় আর ছোট। তবে পারফরমেন্সের ধরণ দুটোই ভিন্ন। দেহরক্ষী যখন রিলিজ হয় তখন আমার বারোটা সিরিয়াল কিন্তু অনএয়ারে ছিল। তারপরও দেহরক্ষীর অভিনয়টা আলাদাভাবে নিয়েছেন দর্শকরা। কারণ বারোটা সিরিয়াল ও চলচ্চিত্রের অভিনয়ে ভিন্নতা ছিল। আমরা বলি ফিল্মটা লার্জেজ ইন দ্য লাইভ। আমি বলি এটা ‘লাইভ’ বা জীবন্ত। আমি এখানে যা যা করছি সেটা ফিল্ম। যা মেক করে নিচ্ছি সেটা নাটক। অনেক নাটকে নদী দেখাতে গিয়ে দীঘি দেখিয়েই বোঝানো হয় এটা নদী। কিন্তু ফিল্মে দীঘি দেখালে সেটা আর ফিল্ম থাকবেই না। রিয়েল জায়গাটা ফিল্মে লাগবে। এটাই দুটোর পার্থক্য।

জাগো নিউজ : একসাথে ছোট ও বড় দুই পর্দায় সাফল্য আসে না বলে অনেকে মনে করেন। সে ক্ষেত্রে আপনি দুই মাধ্যমেই কাজ করছেন। এ বিষয়ে কী বলবেন?
মিলন :  সাফল্য আসে না এটা যারা বলেন তাদের সাথে আমি একমত নই। ২০১২ তে আমার প্রথম ছবি ‘দেহরক্ষী’ আসে। আর শেষ ছবি ‘লালচর’ মুক্তি পাচ্ছে এ মাসেই। তার মাঝখানে তিন বছরে নয়টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। এটা কী সাফল্য নয়? এভাবে চললে আগামী ছয় বছরে আরো সাফল্য আসবে এটাই স্বাভাবিক। আমি মনে করি পর্দাটা কোনো বিষয় নয়, মেধা এবং কাজের গুণটাই মূখ্য। ভাল কাজ করলে অবশ্যই সাফল্য আসবে। আমার আগেও অনেকে দুই পর্দাতে সমানতালে কাজ করে সফলতা পেয়েছেন। এটা প্রমাণিত।

জাগো নিউজ : বড় পর্দায় আপনার শুরুটা এন্টিহিরো হিসেবে। এরপর বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে আপনাকে দেখা গেছে। আপনি নিজে কোন ধরনের চরিত্রে আগ্রহী?
মিলন : আমাদের দেশের ফিল্মে তিনটি শব্দ বেশ প্রচলিত, ‘নায়ক’ ‘নায়িকা’ ও ভিলেন। পৃথিবীর কোথাও এ শব্দগুলো প্রচলিত না। নায়ক যে চরিত্রটা করবে সেটা সেন্ট্রাল ক্যারেক্টার। কিন্তু আরো অনেক ধরনের ক্যারেক্টারকে যে সেন্ট্রাল ক্যারেক্টার করা যায় সেই ধারনা বাংলাদেশে নেই। এখানে মূল চরিত্র করা মানে নায়ক হয়ে যাওয়া। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এমন ঘটনা রেয়ার যে কেউ এন্টিহিরো হিসেবে শুরু করে পরে আবার হিরোর ক্যারেক্টার করেছে এবং তার চাহিদা বেড়েছে। সেই পয়েন্ট অব ভিউ থেকে খেয়াল করি দর্শক আমাকে কৃতজ্ঞ করেছেন। তবে যেহেতু এখানে আমি প্রতিষ্ঠিত হতে চাইছি তাই ‘চিত্রনায়ক’ শব্দটা নামের সঙ্গে যোগ করতে চাই। কারণ বাংলাদেশে এই কথাটা প্রচলিত। এর সঙ্গে যোগ করতে চাই ‘অ্যাক্টর হিরো’। অ্যাক্টর শব্দটা ব্যবহার করছি এই কারণে- এই শব্দটা শুনলেই একজন ভার্সেটালাইজ হিরোর কথা মাথায় আসে। নায়ক হতেই পারে একজন; কিন্তু তিনি কতোটা বৈচিত্রময় অভিনয় জানেন, নিজেকে নিত্য নতুন চরিত্রে কতোটা উপস্থাপন করতে পারেন সেটাও বিবেচ্য। আমি নিজেকে সেই বিবেচনার পাত্র হিসেবেই বিকশিত করতে চাই। আমার মনে হয় আমি পারব সেটা। হিরোকে আমাদের এখানে সেন্ট্রাল কাস্ট বলা হয়। আমিও সেন্ট্রাল কাস্ট করবো। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের ক্যারেক্টারও করবো। দর্শক আমাকে আনপ্রেডিক্টেবল ভাবুক। হলে এসে তারা যাতে বুঝতে না পারে এবার মিলন কি চরিত্রে আসছেন। এজন্য বিভিন্ন ধরনের ক্যারেক্টার করছি। কখনো পুলিশ, গুন্ডা, সাইকো কখনোবা প্রেমিক। হিরো বলতে টমেটো মার্কা চেহারা, লাল ঠোঁট, চুলে জেল দেয়া, মুডি ভাব নিয়ে বসে থাকা আর কথা বলা বা ঘুমানোর সময়ও মেকাপ নেয়ার যে প্রবণতা সেটি বদলে দেয়া প্রয়োজন।

জাগো নিউজ : বড় পর্দার পাশাপাশি ছোট পর্দাও সমান তালে কাজ করছেন। শিডিউল মেইনটেইন করছেন কিভাবে?
মিলন : মেইনটেইনটা আসলে নিজের কাছে। শিডিউল মেলাতে একটু ঝামেলায় পড়তে হয় বটে। কিন্তু তবুও চেষ্টা তো করতে হবে। চলচ্চিত্রের বেলায় বড় বড় শিডিউল পড়ে। আর নাটকে ছোটছোট শিডিউল। মাসের ২০ দিন ফিল্মে। ১০ দিন নাটকে। এভাবেই আপাতত চলছে।

জাগো নিউজ : আপনার হাতে বেশ ক’টি ছবির কাজ আছে। পুরোদমে শুরু করলে তখন..?
মিলন : ব্যাপারটা মাথায় রেখেই আপাতত নতুন কোন সিরিয়াল ধরছিনা। এ মুহূর্তে জীবনের অলিগলি, অলসপুর, ঘোমটা, ননস্টপ ইত্যাদি রানিং সিরিয়ালগুলো শেষ করতে চাইছি। এরপর সিরিয়াল বাদ দিয়ে বিশেষ দিনগুলোতে বা উপলক্ষগুলোতে খণ্ড নাটক করার ইচ্ছা আছে।

Milon Bhai
জাগো নিউজ : একটু অন্য প্রসঙ্গে যাই। আপনি যে বয়সে চলচ্চিত্রে ব্যস্ত হয়েছেন সে বয়সে অনেক নায়ক চলচ্চিত্র ছেড়েছেন। আপনার কি মনে হয় আপনি নায়ক হিসেবে নিজের ইমেজ তৈরি করতে পারছেন?
মিলন :
আমি তো বলেছিই আমি চাই সবাই আমাকে নায়ক বলুক, চিত্রনায়ক বলুক। সে চেষ্টাও আমি করছি। বেশ কিছু প্রেমের ছবিতে অভিনয় করেছি দর্শকরা যেমন নায়ক দেখতে চান তেমন করেই। এখন নায়ক হিসেবে ইমেজ তৈরি হচ্ছে কিনা সেটা দর্শকরাই ভাল বলতে পারবেন। সর্বশেষ ‘ভালবাসার গল্প’ ছবিটি মুক্তির পর চারদিক থেকে খুব ভাল পজেটিভ রেসপন্স পেয়েছিলাম। নিজের মধ্যেও অনেক ভাল লাগা কাজ করেছে। তাছাড়া প্রায় প্রতিটি ছবিতেই আমার চরিত্রে ভ্যারিয়েশন ছিল। অভিনয়টাকে আমি সবসময় নিজের মধ্যে লালন করি এবং চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করি। এখানে বয়স কোনো ফ্যাক্ট না। যারা বয়সের জন্য চলচ্চিত্র ছেড়ে দূরে আছেন তারা আবার ফিরে আসবেন বলে মনে করি আমি। কারণ তারা সফল নায়ক হিসেবে প্রমাণিত এবং স্বীকৃত। তাই তাদের নিয়ে নতুন করে ভাবতে পারলে অনেক ভালো কিছু হবে আমাদের জন্য। অভিজ্ঞতা যে কোনো ক্ষেত্রেই অমূল্য সম্পদ। নায়কের ইমেজ কোনোদিন যায় না। বরং সময়ের সাথে সাথে সেটি বাড়ে।

জাগো নিউজ : চলতি বছরে শাকিবের পরই আপনার অভিনীত ছবির সংখ্যা বেশি। হঠাৎ করেই এই ব্যস্ততা বা চলচ্চিত্রে আপনার চাহিদা বাড়ার পিছনে টার্নিং পয়েন্টটা কী?

মিলন : আমি নিজেকে কারো সাথে তুলনা করছি না। আমি চাই চলচ্চিত্রে মিনিমাম দশজন হিরো থাকবে এবং দশজন হিরোইন থাকবে। তাহলে পরিচালকরা ঠিক করতে পারবেন কাকে কোন ক্যারেকটারের সাথে ম্যাচ করে। অনেকসময় শিল্পী সংকটে পড়ে উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানো হয়। সেজন্য আর্টিস্টের নিকট থেকে সেরা কাজটি বেরিয়ে আসে না। তাই অনেক সহশিল্পী চাই, প্রতিযোগিতা চাই। আর শাকিবের সাথে রাজনীতি ছবিতে একসাথে কাজ করছি এটার জন্য আই ফিল প্রাউড। কারণ তার মত একজন বড় মাপের সুপারস্টার আছেন আমার সাথে। এটা অবশ্যই আমার ক্যারিয়ারের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে বলে আমি মনে করি। এছাড়া আমি মনে করি দেহরক্ষী ছবিটিই আমার টার্নিং পয়েন্ট। সেখানে দর্শকরা আমাকে ব্যতিক্রমী চরিত্রে দেখে অবাক হয়েছিলো। তারপর থেকেই আমার প্রতি তাদের একটা আগ্রহ জন্মেছে। এরপর অনেক সাধের ময়না, ব্ল্যাকমেইল, ভালোবাসার গল্প ছবিগুলো আমার চাহিদা বাড়িয়েছে ফিল্মে।

জাগো নিউজ : রাজনীতি ছবিটি নিয়ে বলুন...
মিলন : প্রথমে বলব এ ছবির গল্পটা ব্যতিক্রম। এমন গল্প আমি এর আগে কোনোদিন শুনিনি। তাছাড়া ছবির বাজেটও ভালো। মেকিং-এ যিনি আছেন  নবীন হলেও সে অনেক পরিশ্রমী একজন ছেলে এবং তার নির্মাণশৈলীতে মুন্সিয়ানা আছে। তাছাড়া শাকিব খান, অপু বিশ্বাস, সাবেরি আপাসহ এ ছবির অন্যান্য শিল্পীরাও দক্ষ এবং অভিজ্ঞ। সবাই খুব ভালো অভিনয় করছেন। আর এখানে আমার চরিত্রে কাজ করার সুযোগ আছে বলেই কাজটা করতে রাজি হয়েছি। শাকিবের সঙ্গে প্রথম কাজ করছি। এটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। নায়িকা হিসেবে অপু বিশ্বাসের সঙ্গেও এটা আমার প্রথম কাজ। আশা করছি, বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের দুজন বড় তারকার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা মোটেও মন্দ হবে না। সবমিলিয়ে দুর্দান্ত জমে উঠবে রাজনীতি এটাই প্রত্যাশা করি।

জাগো নিউজ : ইদানিং দেখা যাচ্ছে চলচ্চিত্র নির্মাণে মুন্সিয়ানা এসেছে...
মিলন : হ্যা, নির্মাতাদের চিন্তার পরিবর্তন এসেছে। নান্দনিক চিন্তার প্রকাশ ঘটেছে। পাঁচ-সাত বছর আগে ইন্ডাস্ট্রিতে বিকৃত রুচির মানুষ ছিল যারা চলচ্চিত্রকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এখন তাদের রুচির পরিবর্তন হয়েছে। অনেক কিছু বদলে গেছে। গল্প ভাবনায় পরিবর্তন এসেছে। নির্মাণে নতুনত্ব এবং পরিচ্ছন্নতা এসেছে। আমি যখন তিন বছর আগে দেহরক্ষী ছবির শুটিং করি এফডিসিতে তখন একটি ফ্লোরে এ ছবির কাজ হয়। আর বাকিগুলোতে দেখতাম বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের শুট হতো। অথচ এখন এই চিত্র পুরোটাই আলাদা।

জাগো নিউজ : এবার বলুন অভিনয়ে আসার ইচ্ছেটা হলো কেন?
মিলন : আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার এক চাচা দেশের বাইরে যান। আমিও তার সাথে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে ভিতরে ঢুকতে দেয়নি বলে তখন রাগ করেছিলাম। বাসায় ফিরে জেদ করলাম বড় হয়ে বিমানবন্দরে কাজ করবো। যাতে আমি অবলীলায় ঢুকতে পারি। সেটা ইমোশনাল জায়গা থেকে ভেবেছিলাম। সময়ের সাথে সাথে সেই ইচ্ছেটা মরে গেছে। কিন্তু অভিনয়ের প্রতি যে আগ্রহ কৈশোরেই মনে ঢুকেছিলো সেটি আর পিছু ছাড়েনি। ক্লাস সিক্স থেকেই একটা ছেলে মঞ্চ নাটক করে। তারপর পড়াশোনা শেষ করে যখন সে অন্য কোনো একটা চাকরি করে তখন কিন্তু তার মন পড়ে থাকে অভিনয়েই। ব্রিটিশ কাউন্সিলে ডেমোক্রাসি ওয়াচের একটা প্রজেক্ট দেখতাম। পরে একটা ব্যাংকে জব করেছি। সেখানে মন কেন বসবে? আমি কেয়ারফুলি কেয়ারলেস। আমি জব করার সময় কেয়ারলেস থাকতে পারবো না। সপ্তাহে পাঁচ-সাতটা টাই চেঞ্জ করতে হতো। আমার ওগুলো পছন্দ ছিলনা। আমি বুঝতে পারছিলাম এসব কর্পোরেট কাজ-কারবার আমার জন্য নয়। অভিনয়েই নিজেকে নিয়ে যেতে হবে। অপেক্ষা ছিলো। পরিশ্রম ছিলো। একসময় সুযোগ হলো। তারপর থেকেই চলছি আজকের এই আমি....

Milon Bhai
জাগো নিউজ : আপনার পরিচালক হওয়ার ইচ্ছা হয় না কখনো?

মিলন : পরিচালনা করলে নেতৃত্বটা দেওয়া যায়। এবং মেকিংয়ে অনেক মুন্সিয়ানা দেখানোর সুযোগ মিলে। আমারও ইচ্ছে আছে। তবে সেটা এখনই নয়।

জাগো নিউজ : নিজের অভিনয়কে কিভাবে মূল্যায়ণ করেন?
মিলন : প্রতিদিনই নিজের ভিতর নতুন করে চরিত্র তৈরি করি। দিনশেষে যখন ঘরে ফিরি তখন বিশ্লেষণ করি কেমন হলো সারাদিনের কাজ। তারপর কোনো না কোনো অপূর্ণতা পেয়ে বসে। আসলে শিল্পের কোনো চূড়ান্ত সাফল্য আসে না। শিল্পী যদি তৃপ্ত হয়ে যান তবে তো আর শিল্প সৃষ্টি হবে না। তাই যখনই নিজের কাজ মূল্যাযণ করতে বসি তখনই নানা ভুল ভেসে ওঠে। তবে ভালো লাগে যখন সবাই বলে আমি ভালো করছি।

জাগো নিউজ : সামনে আপনার কোন কোন ছবি দেখা যাবে?
মিলন : এ মাসে ২৫ তারিখ আসছে লালচর। তাছাড়া আগামী বছর আসবে আরো কয়েকটি ছবি। যেমন নাইওর, ওয়ান ওয়ে, ক্রাইম রোড, রাত্রির যাত্রী, টার্গেট।

এনই/এলএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।