ইতিহাস গড়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি


প্রকাশিত: ১০:১৪ পিএম, ১৩ জুলাই ২০১৪

লাতিনের মাটিতে এর আগে কোনো বিশ্বকাপেই চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি বাইরের মহাদেশের কোনো দল। তবে এই ইতিহাস ভেঙে দিয়েছে জার্মানি। ব্রাজিলের মাটিতে বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছে তারা। রবিবার রাতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে ১-০ গোলে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছে ডার মানশাফটরা।

রিও দে জেনেইরোর মারকানায় ম্যাচে শুরুতে লড়াইটা ছিল সমানে সমান। খেলার ৩ মিনিটে ফ্রি কিক পেয়েছে জার্মানি। কিন্তু ফ্রি কিক কাজে লাগাতে পারেনি ডার মানশাফটরা। পরের মিনিটেই কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ভালো সুযোগ তৈরি করেছিল আর্জেন্টিনা।ডানপ্রান্ত দিয়ে গঞ্জালো হিগুয়েনের শট পোস্ট ঘেঁষে মাঠের বাইরে চলে গেছে। ৯ মিনিটে প্রায় মধ্য মাঠ থেকে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছেন লিওনেল মেসি। কিন্তু তার ক্রসে ফিনিশিং টাচ দেওয়ার মতো কোনো খেলোয়াড় ছিল না। পরে জার্মানির ডিফেন্ডাররা বল ক্লিয়ার করেছেন। ১৪ মিনিটে দ্বিতীয়বার ফ্রি কিক পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি জার্মানি। ফিলিপ লামের ফ্রি কিক লাফিয়ে ওঠে হেড নিতে চেয়েছিলেন মিরোস্লাভ ক্লোসা। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। পরে বল ক্লিয়ার করেছেন আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগের ফুটবলাররা।

২১ মিনিটে সহজ একটি সুযোগ নষ্ট করেছেন গঞ্জালো হিগুয়েন। ‍প্রায় মধ্য মাঠ থেকে বল পেয়ে জার্মানির ২ ডিফেন্ডারকে গতির লড়ায়ে পরাজিত করেছেন ২৬ বছর বয়সী এ ফয়োয়ার্ড। পরে গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারকে একা পেয়েও সুবিধে করতে পারেননি। তার শট জাল খুঁজে পায়নি। ৩০ মিনিটে এজেকিয়েল লাভেজ্জির ক্রসে জার্মানির জালে বল পাঠিয়েছেন গঞ্জালো হিগুয়েইন। কিন্তু তার আগেই অফ সাইডের পতাকা তুলেছেন লাইনস ম্যান। ৩৬ মিনিটে এজেকিয়েল লাভেজ্জির কর্নার সরাসরি জার্মানির হাতে গিয়ে পরেছে। পরের মিনিটেই কাউন্টার অ্যাটাক থেকে সুযোগ তৈরি করেছে জার্মানি। বক্স থেকে নেয়া আন্দ্রে শুরলের শট আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরো কর্নারের বিনিময়ে বিপদ মুক্ত করেছেন। ৪০ মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। পরে আগুয়ান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারকে পরাস্ত করলেও জালে বল পাঠাতে পারেননি। পোস্ট ফাঁকা থাকলেও এবারও ফিনিসিং টাচ দেওয়ার মতো কোনো ফুটবলারর ছিল না। ৪৪ মিনিটে জার্মানির অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার টমাস মুলারের ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ ছিলেন ৩৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড মিরোস্লাভ ক্লোসা।

বিরতির পর ম্যাচের ৪৭ মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পেয়েছে আর্জেন্টিনা। গঞ্জালো হিগুয়েনের কাছ থেকে বল পেয়ে বক্স থেকে বাঁ পায়ে শট নিয়েছেন লিওনেল মেসি। তার শট সাইড বার ঘেসে মাঠের বাইরে চলে গেছে। ৭৪ মিনিটে মেসির সেই চাকতি ডস। ডানপ্রান্ত থেকে বল নিয়ে বক্সে। না শট নেননি। সুভিধে করতে পারছিলেন না। পরে বক্সে থেকে বেড়িয়ে এসে শট নিয়েছেন। কিন্তু এবারও তার শটে বল জাল খুঁজে পায়নি। ৮২ মিনিটে সুযোগ এসেছে জার্মানি। মেসুত ওজিলের ক্রসে দৌড়ে এসে বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়েছেন টনি ক্রুস। তার শট সাইড বার ঘেসে মাঠে বাইরে চলে গেছে। নির্ধারিত সময়ে কোন দলই গোলের দেখা না পেলে ম্যাচ গড়িয়েছে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে।

অরিতিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটেই ভালো সুযোগ পেয়েছে জার্মানি। বক্সের মধ্যে থেকে শট নিয়েছেন আন্দ্রে শুরলে। তার শট ফিরিয়ে দিয়েছেন সার্জিও রোমেরো। ফিরতি বলে শট নিয়েছেন মেসুত ওজিল। তার শট ফিরিয়ে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার লুকাস বিগলিয়া। ৯৭ মিনিটে গোলরক্ষককে একায় পেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন আর্জেন্টিনার বদলী ফরোয়ার্ড রদ্রিগো প্যালাসিও। আগুয়ান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারের মাথা উপর দিয়ে বল মারলেও তা জাল খুঁজে পায়নি। ১১৩ মিনিটে ভুল করেননি বদলি ফুটবলার মারিও গোটজে। আন্দ্রে শুরলের লম্বা ক্রস বক্স থেকে বুক দিয়ে রিসিভ করেছেন মারিও গোটজে। বল রিসিভ করেই পোস্টে শট নিয়েছেন তিনি। তার শটে আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরোর বাঁ পাশ দিয়ে বল জালে জড়িয়েছে।

১-০ গোলে এগিয়ে গেছে জার্মানি। পরে আর কোনো দলই গোলের দেখা না পেলে চতুর্থ শিরোপা নিশ্চিত হয়েছে জার্মানির।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।