শ্রীলংকার লক্ষ্য ৪০৫ রান
ডানেডিনে কী জয় পাবে শ্রীলংকা? প্রায় অসম্ভব। টেস্ট বাঁচাতে পারবে? সেটাও অনিশ্চিত। তাহলে ফল দাঁড়াচ্ছে, স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের সামনে নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে রয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকা। কারণ, দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য লংকানদের সামনে ৪০৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়ার পর ১০৯ রান তুলতেই তিন উইকেট তুলে নিয়েছে কিউইরা। জিততে হলে টেস্টের শেষ দিন আরও ২৯৬ রান করতে হবে। শ্রীলংকার হাতে বাকি রয়েছে আর মাত্র ৭ উইকেট।
প্রথম ইনিংসেই শ্রীলংকাকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড, ৪৩১ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ২৯৪ রান করেছিল লংকানরা। প্রথম ইনিংসে ১৩৭ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেট হারিয় ১৭১ রান করে নিউজিল্যান্ড।
চতুর্থ দিন সকালে ৪৮ রান নিয়ে কেনে উইলিয়ামসন এবং ৭২ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামেন টম লাথাম। ইনিংসটাকে তিন অংকের ঘরে টেনে নিতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি লাথামকে। এ নিয়ে ক্যারিয়ারে তৃতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেলেন কিউই ওপেনার। লাথাম সেঞ্চুরি করতে পারলেও, ৭১ রানে গিয়ে আউট হয়ে যান কেনে উইলিয়ামসন। ১১৫ বলে ৭১ রান করার পর দুশমন্তে চামিরার বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি।
এরপর রস টেলর এসে করেন ১৫ রান। তিনি বোল্ড হয়ে যান রঙ্গনা হেরাথের বলে। তবে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৬৭ রান করার পরই দ্বিতীয় ইনিংষ ঘোষণা করেন দেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। এ সময় ১০৯ রানে লাথাম এবং ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন ম্যাককালাম নিজে।
নিউজিল্যান্ডের ৪০৪ রানের লিড নেয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলংকার সামনে জয়ের জন্য ৪০৫ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৫৪ রানের মাথায় দিমুথ করুণারত্নের উইকেট হারায় লংকানরা। ৭২ বলে ২৯ রান করে আউট হন তিনি। দলীয় ৬৪ রানের মাথায় আউট হয়ে যান উদারা জয়াসুন্দেরা।
দলীয় ১০৯ রানের মাথায় আউট হয়ে যান অপর ওপেনার কুশল মেন্ডিসও। ১৫০ বলে ৪৬ রান করেন তিনি। কুশল মেন্ডিস আউট হওয়ার পরই অবশ্য ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। এরপরই নামে ঝড়ো বৃষ্টি। যার ফলে দিনের খেলা আগেই শেষ করে দিতে বাধ্য হন আম্পায়াররা। এ সময় ৩১ রান নিয়ে ক্রিজে ছিলেন দিনেশ চান্ডিমাল। শেষ দিন এই চান্ডিমালের ওপরই নির্ভর করছে অনেককিছু। তিনিই হয়তো পারেন লংকানদের জয় এনে দিতে কিংবা ম্যাচ বাঁচিয়ে দিতে; কিন্তু ৫ম দিন উইকেটের যে অবস্থা হবে, তাতে জয়টা সুদুরপরাহতই।
আইএইচএস/এমএস