নাটকীয় জয়ে শীর্ষে ম্যানসিটি
ক্লাইমেক্সের পর অ্যান্টি ক্লাইমেক্স। নাটকের পর নাটকীয়তা। ইত্তিহাস স্টেডিয়ামে সোয়ানসি সিটির বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির ম্যাচের শেষ কয়েক মিনিটের লড়াইকে এর চেয়ে ভিন্ন কোন অভিধায় আখ্যায়িত করা যায় না। ২৬ মিনিটে গোল করে যেখানে ম্যানসিটি নিশ্চিত জয়ের পথে, তখনই হঠাৎ গোল করে বসে সোয়ানসি। নাটকের শুরুটা তখনই। ৯০ মিনিটে। নাটকীয়তা যে তখনও বাকি! ইনজুরি সময়ে সে নাটকীয়তার চূড়ান্ত রূপ দিল ম্যানসিটি। ২-১ ব্যবধানে নাটকীয় জয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের টেবিলে শীর্ষে ফিরল ম্যানুয়েল পেলিগ্রিনির শিষ্যরা।
লেস্টার সিটি নামক হঠাৎ শক্তিশালি হয়ে ওঠার ক্লাবটিই এখন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে জায়ান্টদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের নাম। ম্যনসিটি, আর্সেনাল, ম্যানইউ কিংবা লিভারপুলের মত দলকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছিল দলটি। সোয়ানসি সিটির বিপক্ষে নাটকীয় জয়ে শেষ পর্যন্ত লেস্টার সিটিকে পেছনে ফেলতে পারলো ম্যানসিটি।
তবে সেটা সম্ভবত ২ দিনের জন্য। কারণ, সোমবার নিজেদের মাঠে চেলসিকে অভ্যর্থনা জানাবে লেস্টার। ভঙ্গুর চেলসির সানমে আটকে যাওয়ার কথা নয় দলটির। আর তা হলে, ১৬ ম্যাচ শেষে ম্যানসিটিকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে যাবে লেস্টারই। কারণ ১৬ ম্যাচে ম্যানিসিটির পয়েন্ট এখন ৩২। এক ম্যাচ কম খেলেও সমান পয়েন্ট নিয়ে সিটির পাশে রয়েছে লেস্টার।
গত সপ্তাহেই স্টোক সিটির কাছে হারের পর শনিবার যথেষ্ট চাপে ছিল ম্যানুয়েল পেল্লগ্রিনির শিষ্যরা৷ এদিন ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ম্যানসিটি৷ ম্যাচের ২৬ মিনিটে উইরফ্রেড বনির গোলে এগিয়ে যায়া তারা৷ ৮৯ মিনিট পর্যন্ত ১-০ এগিয়ে থেকে জয় প্রায় নিশ্চিতই করে ফেলেছিল ম্যানসিটি৷
কিন্তু ৯০ মিনিটে বেফাতিম্বি গোমিজের গোলে সমতা ফেরায় সোয়ানসি৷ যদিও ম্যাচের চমক অপেক্ষা করছিল তখনও। অতিরিক্ত সময়ে দুরন্ত গোল করে ম্যানসিটিকে জয় এনে দেন ইয়াইয়া তোরে৷
আইএইচএস/এমএস