প্রধমার্ধ গোল শূন্য
বিশ্বকাপের ২০তম আসরে ফাইনালে মাঠে নেমেছে আর্জেন্টিনা ও জার্মানি। রবিবার রিও দে জেনেইরোর মারকানায় রাত ১টায় শুরু হয়েছে ম্যাচটি। ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয়েছে গোলশূন্যভাবে।
রিও দে জেনেইরোর মারকানায় ম্যাচে শুরুতে লড়াইটা ছিল সমানে সমান। ম্যাচের ৩ মিনিটে ফ্রি কিক পেয়েছে জার্মানি। কিন্তু ফ্রি কিক কাজে লাগাতে পারেনি ডার মানশাফটরা। পরের মিনিটেই কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ভালো সুযোগ তৈরি করেছিল আর্জেন্টিনা।ডানপ্রান্ত দিয়ে গঞ্জালো হিগুয়েনের শট পোস্ট ঘেসে মাঠের বাইরে চলে গেছে। ৯ মিনিটে প্রায় মধ্য মাঠ থেকে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছেন লিওনেল মেসি। কিন্তু তার ক্রসে ফিনিশিং টাচ দেওয়ার মতো কোন খেলোয়াড় ছিল না। পরে জার্মানির ডিফেন্ডাররা বল ক্লিয়ার করেছেন। ১৪ মিনিটে দ্বিতীয় বার ফ্রি কিক পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি জার্মানি। ফিলিপ লামের ফ্রি কিক লাফিয়ে ওঠে হেড নিতে চেয়েছিলেন মিরোস্লাভ ক্লোসা। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। পরে বল ক্লিয়ার করেছেন আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগের ফুটবলাররা। ২১ মিনিটে সহজ একটি সুযোগ নষ্ট করেছেন গঞ্জালো হিগুয়েন। প্রায় মধ্যে মাঠ থেকে বল পেয়ে জার্মানির ২ ডিফেন্ডারকে গতি লড়ায়ে পরাজিত করেছেন ২৬ বছর বয়সী এ ফয়োয়ার্ড। পরে গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারকে একা পেয়েও সুভিধে করতে পারেননি। তার শট জাল খুঁজে পায়নি। ৩০ মিনিটে এজেকিয়েল লাভেজ্জির ক্রসে জার্মানির জালে বল পাঠিয়েছেন গঞ্জালো হিগুয়েইন। কিন্তু তার আগেই অফ সাইডের পতাকা তুলেছেন লাইনস ম্যান। ৩৬ মিনিটে এজেকিয়েল লাভেজ্জির কর্নার সরাসরি জার্মানির হাতে গিয়ে পরেছে। পরের মিনিটেই কাউন্টার অ্যাটাক থেকে সুযোগ তৈরি করেছে জার্মানি। বক্স থেকে নেয়া আন্দ্রে শুরলের শট আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরো কর্নারের বিনিময়ে বিপদ মুক্ত করেছেন। ৪০ মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছেন লিওনেল মেসি। পরে আগুয়ান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারকে পরাস্ত করলেও জালে বল পাঠাতে পারেননি। পোস্ট ফাঁকা থাকলেও এবারও ফিনিসিং টাচ দেওয়ার মতো কোন ফুটবলারর ছিল না। ৪৪ মিনিটে টমাস মুলারের ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ ছিলেন মিরোস্লাভ ক্লোসা।
এর আগে ২ বার বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছে দল ২টি। ১৯৮৬ ও ১৯৯০ সালে। ’৮৬ জার্মানিকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা। ’৯০ সালে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে প্রতিশোধ পর্ব সেরে নিয়েছে জার্মানি।